সহজ জয়ে সিরিজ পাকিস্তানের

মূল কাজটা করে দিয়েছিলেন বোলাররা। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নেদারল্যান্ডস অল্প রানেই গুটিয়ে দেন। সে লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে কিছুটা বাঁধা পেলেও অধিনায়ক বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আঘা সালমানের ফিফটিতে সহজ জয়ই মিলেছে পাকিস্তানের। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত হলো বাবরদের।
বৃহস্পতিবার রটারড্যামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৪.১ ওভারে ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ডাচরা। জবাবে ৯৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে পাক শিবির।
লক্ষ্যটা বড় দিতে না পারলেও শুরুতেই দুই পাকিস্তানি ওপেনারকে ফিরিয়ে শুরুটা দারুণ করেছিল নেদারল্যান্ডস। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে জোড়া ধাক্কা দেন ভিভিয়ান কিংমা। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফখর জামানকে নিজেই তালুবন্দি করেন। চার বল পর লোগান ভ্যান বিকের ক্যাচে পরিণত করেন ইমাম-উল-হককে।
জোড়া ধাক্কার পর অধিনায়ক বাবরকে নিয়ে দলের হাল ধরেন রিজওয়ান। ৮৮ রানের অসাধারণ এক জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন এ দুই ব্যাটার। এরপর অধিনায়ক ফিরে গেলে বাকি কাজ সালমানকে নিয়ে শেষ করেন রিজওয়ান।
অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এদিন আরও একটি হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর। খেলেন ৫৭ রানের ইনিংস। ৬৫ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন অধিনায়ক। সালমান অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে। ৩৫ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। ৮২ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় আট রানেই টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস। তবে চতুর্থ উইকেটে টম কুপারকে সঙ্গে দলের হাল ধরেন বাস ডি লিডে। চতুর্থ উইকেটে ১০৯ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তবে ডাচদের গল্প এটুকুই। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় দলটি।
দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন ডে লিডে। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকেই। তবে হারিস রউফের স্লোয়ার বলে লংঅনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসার আগে খেলেন ৮৯ রানের ইনিংস। ১২০ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ ব্যাটার। ৭৪ বলে ৬৬ রান করেন কুপার। ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।
পাকিস্তানের পক্ষে ৪২ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ১৬ রানের বিনিময়ে রউফও পান ৩টি উইকেট। এছাড়া নাসিম শাহ নিয়েছেন ২টি উইকেট। ম্যাচসেরা হয়েছেন নাওয়াজ
Comments