এভাবে কি আর বাংলাদেশে থাকতে চাইবেন ডমিঙ্গো? 

Russell Domingo
প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আপনি নাকি এশিয়া কাপে দলের সঙ্গে যাচ্ছেন না? ক্ষুদে বার্তায় রাসেল ডমিঙ্গোকে এই প্রশ্ন করা হলে অদ্ভুত এক প্রতীকী অভিব্যক্তিতে জবাব দেন বাংলাদেশের কোচ। বিষয়টা নিয়ে যে তিনি নিজেও আঁধারে তা পরিষ্কার। ডমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টি দলের সঙ্গে আর রাখতে চায় না বিসিবি। বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন দিয়েছেন সেই ইঙ্গিত। পরিস্থিতি এমন দিকে যাচ্ছে যে ডমিঙ্গোর বাংলাদেশে অবস্থানই এখন বেশ অস্বস্তির।  

শুক্রবার ভারতের সাবেক ক্রিকেটার শ্রীধরন শ্রীরামকে টি-টোয়েন্টি দলের 'টেকনিক্যাল পরামর্শক' হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার খবর জানায় বিসিবি। যদিও তার দায়িত্বটা থাকবে প্রধান কোচেরই। শুরুতেই তাকে প্রধান কোচ না করার একটা কৌশলগত কারণও আছে বিসিবির। 

২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত ডমিঙ্গোর সঙ্গে চুক্তি আছে। তিনি তিন সংস্করণেই প্রধান কোচ। তবে এশিয়া কাপ থেকেই যে টি-টোয়েন্টিতে তিনি আর নেই তা বোর্ড প্রধানের কথাতেই পরিষ্কার,সেই জায়গাটা আলোচনার পরই আনুষ্ঠানিক করার ইচ্ছা তাদের,  'অনেক কিছুতেই বদল আসবে। একটি-দুটি নয়, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থেকে অনেক কিছু করা হবে। আমরা টি-টোয়েন্টি মানসিকতায় বদল আনতে চাচ্ছি। সেটা ডমিঙ্গোকে রেখে নাকি বাদ দিয়ে, সেটা এখনও আলোচনা হয়নি। এখনও পর্যন্ত চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে, ডমিঙ্গো টেস্ট ও ওয়ানডেতে মনোযোগ দেবে।' 

'সামনে যে পরিমাণ খেলা, ডমিঙ্গোর পক্ষে এত ভ্রমণ করা সম্ভব নয়। অনেক সিরিজে যেতেই পারবে না সে, কারণ তার তো ছুটিও লাগবে। সব খেলায় যেতে পারবে না। আমরা পুরো জিনিসটাকে আলাদা করতে চাচ্ছি। সামনের এফটিপিতে টি-টোয়েন্টিতে অনেক ম্যাচ। এটা আরেকজনকে দেওয়া মানে তার (ডমিঙ্গোর) ভার অনেক কমে গেল। টি-টোয়েন্টির ধরন, অ্যাপ্রোচ সব আলাদা। আমরা চিন্তা করছি যে, টি-টোয়েন্টির কোচিং স্টাফ আলাদা করে দেব।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক প্রভাবশালী পরিচালক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'শ্রীরামকে নেওয়া হয়েছে সাদা বলের প্রধান কোচ করার জন্যই। এশিয়া কাপ থেকে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব পাচ্ছেন তিনি, পরে ওয়ানডে দলটাও বুঝে দেওয়া হবে তার হাতে। ইংল্যান্ডের মডেলে টেস্টের কোচ থাকবেন আরেকজন।'
 

তার মতে পরিস্থিতি যেদিকে এগুচ্ছে তাতে ২০২৩ পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও ডমিঙ্গো হয়ত বাংলাদেশে থাকতে চাইবেন না। কারণ এখানে সবকিছুই তার প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে। তার ক্ষমতার পরিধি কমিয়ে আনা হচ্ছে, অর্থাৎ বিসিবি তাকে সসম্মানে চলে যাওয়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

বিসিবি তাকে বরখাস্ত করলে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এক্ষেত্রে দুই পক্ষে সমঝোতায় পৌঁছে সম্পর্কের ইতি টানার ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ শুক্রবার সকালে বাংলাদেশে এসেছেন। রোববার তার সঙ্গে সভা করবেন বিসিবি সভাপতি। সেই সভায় হয়ত নির্ধারিত হয়ে যাবে ডমিঙ্গোর আগামী। 

এদিকে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সও এশিয়া কাপে দলের সঙ্গে নাও থাকতে পারেন। বিসিবি তাকে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। তার দায়িত্ব ছিল ডেভোলাপমেন্ট ধাপে কাজ করার। কিন্তু অ্যাশওয়েল প্রিন্স চলে যাওয়ার পর জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে সেই দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাকে। ডেভোলাপমেন্ট পর্যায়ে আর কাজ করা হচ্ছে না। 

এবার সিডন্সকে সেদিকে মনোযোগ করাতে চায় বোর্ড। সিডন্সেরও ইচ্ছা তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করবেন। 

Comments

The Daily Star  | English
Domestic violence killing women in Bangladesh

Domestic violence in Bangladesh: When numbers speak of the silence

When we are informed that 133 women have been killed by their husbands in seven months, it is no longer just a number.

7h ago