শার্দুলের তোপের পর স্যামসনের ফিনিশিং, সিরিজ ভারতের

প্রথম ম্যাচে ব্যাটে-বলে ভারতের সঙ্গে কোন লড়াই-ই জমাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিং কিছুটা ভালো হলেও ব্যাটিংয়ের ঘাটতি আর পোষাতে পারেনি তারা। শার্দুল ঠাকুরের তোপে দেড়শো পেরিয়ে গুটিয়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ের সান্ত্বনা কেবল ভারতের ৫ উইকেট ফেলতে পারা।
শনিবার হারারেতে দ্বিতীয় ওয়ানডে ৫ উইকেটের জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ভারত। এবারও আগে ব্যাটিং পাওয়া স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় স্রেফ ১৬১ রানে। ১৪৬ বল আগে ওই রান পেরিয়ে যায় ভারত। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ লোকেশ রাহুলের দল জিতে নিল এক ম্যাচ বাকি থাকতে।
ভারতের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান শার্দুলের। ৭ ওভার বল করে ৩৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই ডানহাতি পেসার। মোহাম্মদ সিরাজ, প্রসিদ কৃষ্ণ, আকসার প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, দীপক হুডা সবাই নেন একটি করে উইকেট। রান তাড়ায় ৩৯ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস খেলে কাজটা দ্রুত সেরে নেন স্যামসন।
১৬২ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক রাহুলকে হারিয়েছিল ভারত। আরেক ওপেনার শেখর ধাওয়ান খেলছিলেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। থিতু হয়ে তিনিও থামেন। ২১ বলে তার ৩৩ রানের ইনিংস থামেন টানাকা চিবাঙ্গার বলে।
এরপর শুভমান গিলের সঙ্গে জুটিতে ৩১ বলে ৩৬ আনেন ইশান কিশান। জুটিতে ইশানের অবদান কেবল ৬ রান। সাবলীল খেলতে থাকা গিল ও ইশান দুজনকেই ফেরান লুক জঙ্গুই। থিতু হয়ে ফেরেন হুডাও। তবে তাতে ম্যাচের খুব একটা প্রভাব পড়েনি। আকসারকে এক পাশে রেখে কাজটা সেরে নেন স্যামসন। এই কিপার ব্যাটসম্যান তিন চারের সঙ্গে মেরেছেন ৪ ছক্কা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের পুরো ইনিংস জুড়েই ছিল ভোগান্তি। আগের দিনের মতো এদিনও ৩১ রানে তারা হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। যার দুটোই নেন শার্দুল। বাংলাদেশ সিরিজের দুই সেঞ্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কাইয়া আর রেজিস চাকাভাকে তুলে নেন তিনি। সিরাজ ফেরান টাকুডওয়ানশে কাইটানোকে, কৃষ্ণের বলে বিদায় নেন ওয়েসলে মাধভেরে।
ভীষণ বিপদে পড়া দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব ছিল সিকান্দার রাজা ও শন উইলিয়ামসের উপর। অভিজ্ঞ দুজনের জুটিও জমে উঠেছিল। কিন্তু ৫০ বলে ৪১ রানের জুটিত পর কুলদীপের আঘাত। দারুণ ছন্দে থাকা সিকান্দারকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ৩১ বলে ১৬ করে ইশানের হাতে ধরা দেন সিকান্দার।
এরপর রায়ান বার্লের সঙ্গে ৩৩ রানের আরেক জুটি পান উইলিয়ামস। দলকে আরেকটু ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। ৪২ বলে ৪২ করা এই অভিজ্ঞ বাঁহাতি ফেরেন হুডার অফ স্পিনে। বার্ল শেষ পর্যন্ত ৩৯ করে অপরাজিত ছিলেন, তাকে আর সঙ্গে দিতে পারেননি কেউ। জিম্বাবুয়েরও পাওয়া হয়নি লড়াইয়ের পুঁজি।
সোমবার একই ভেন্যুতে হবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।
Comments