বাবরের দুর্দান্ত ব্যাটিং ও নাসিম-ওয়াসিমের তোপে জিতল পাকিস্তান

এক প্রান্তে অধিনায়ক বাবর আজম দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও অপর প্রান্তে তেমন যোগ্য সঙ্গ দিতে পারল না কেউই। ফলে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে কোনোমতে পুঁজিটা দুইশ পার করতে পারে পাকিস্তান। সে পুঁজি নিয়েই দুই পেসার নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ ওয়াসিমের তোপে শেষ পর্যন্ত জয় মিলেছে দলটির। তাতেই ডাচদের হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়ে বাবর আজমের দল।
রোববার রটারডামে সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে ২০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি। জবাবে ৪৯.২ ওভারে ১৯৭ রানে গুটিয়ে যায় ডাচরা।
তবে জয়ের খুব কাছেই ছিল নেদারল্যান্ডস। শেষ ৩৬ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৮ রানের। হাতে ছিল ৫টি উইকেট। আর উইকেটে তখন সেট দুই ব্যাটার টম কুপার ও তেজা নিডাকানুরু। কিন্তু অই দুই পাকিস্তানি পেসার নাসিম ও ওয়াসিমের তোপে শেষ রক্ষা করতে পারেনি দলটি।
তবে সাদামাটা লক্ষ্য পেলেও শুরুটা ভালো করতে পারে না নেদারল্যান্ডস। দলীয় ৩৭ রানেই টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। এরপর ওপেনার বিক্রমজিত সিংকে নিয়ে দলের হাল ধরেন কুপার। গড়েন ৭৫ রানের দারুণ এক জুটি। বিক্রমজিতকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন ওয়াসিম।
এরপর তেজাকে নিয়ে আরও একটি জুটি গড়েন কুপার। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়ে দলকে লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন। তবে নাসিমের বলে তেজা বোল্ড হয়ে গেলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। এরপর কুপারকে শিকার করেন ওয়াসিম। দুই ব্যাটারের তোপে লেজের ব্যাটাররাও কিছু করতে পারেননি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন কুপার। ১০৫ বলে ৪টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৮৫ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৫০ রান করেন বিক্রমজিত। এছাড়া তেজার ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। পাকিস্তানের পক্ষে ৩৩ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট পান নাসিম। ৩৬ রানের খরচায় ৪টি শিকার ওয়াসিমের।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না পাকিস্তানেরও। দলীয় ৩ রানে আব্দুল্লাহ শফিকের বিদায়ে ভাঙে ওপেনিং জুটি। এরপর ফখর জামানকে নিয়ে ৫৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক বাবর। ভ্যান বিকের বলে ফখর বোল্ড হলে আঘা সালমানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক। গড়েন ৪৬ রানের জুটি।
এ জুটি ভাঙলে অবশ্য নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন বাবর। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হন তিনি। আরিয়ান দত্তের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন এ ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯১ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। ১২৫ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া মোহাম্মদ নাওয়াজ ২৭, ফখর ২৬ ও সালমান ২৪ রান করেন। নেদারল্যান্ডসের পক্ষে ৫০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন বাস ডি লিডে। ২টি উইকেট পান ভিভিয়ান কিংমা।
Comments