সেই হারের কথা ভাবলে এখনও ঘুম আসে না কপিলের

ম্যাচটা প্রায় হাতের মুঠোতেই ছিল ভারতের। শেষ বলের আগ পর্যন্ত পর্যন্তও পাল্লা ঝুলে ছিল তাদের দিকেই। কিন্তু শেষ বলে অসাধারণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে উল্টো ম্যাচটা জিতে নেয় পাকিস্তান। এমন হারে আক্ষেপ থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ম্যাচের কথা স্মরণ করলে এখনও ঘুম আসে না তৎকালীন অধিনায়ক কপিল দেবের।

রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে অনেক বছর থেকেই দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজ হয় না ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। আইসিসি ও এসিসির আয়োজিত আসরগুলোই ভরসা। আগামী রোববারে দুবাইয়ে এশিয়া কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হবে এ দলদুটি। সেই ম্যাচের আগে চলছে স্মৃতিচারণ।

স্টার স্পোর্টসে পাকিস্তানি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরামের সঙ্গে আলোচনায় ১৯৮৬ সালের সেই ম্যাচের স্মৃতিচারণ করেন কপিল। যেখানে শেষ বলে জয়ের জন্য চার রান প্রয়োজন ছিল পাকিস্তানের। চেতন শর্মার শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ।

শেষ বলে সেই জয়ের প্রসঙ্গটা তোলেন আকরাম, 'স্মরণীয় একটি ম্যাচ, যেখানে তোমরা (ভারত) ২৭০ রানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলে। তার পরেই আমি তাড়াতাড়ি ৩টি উইকেট তুলে নিই এবং তোমরা ২৪৫-এ আটকে গিয়েছিলে।'

এরপর কপিল বলেন, 'শেষ ওভারে আমাদের হাতে বোধহয় ১২-১৩ রান ছিল। মোটেও সহজ কাজ ছিল না। সেই সময়ে শেষ ওভারে এত রান তুলে ম্যাচ জেতা কার্যত অসম্ভব ছিল।'

'শেষ ওভারে আমরা চেতনকে ডাকি। আজকের দিনে বসেও আমার কখনো মনে হয়নি যে ওর কোনো ভুল ছিল। ওদের শেষ বলে ৪ রান প্রয়োজন ছিল। আমাদের মনে হয়েছিল ইয়র্কারই এক্ষেত্রে বাঁচার সেরা উপায় হতে পারে। এছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না। ও নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে। তবে বলটা লো-ফুলটস হয়ে যায়। মিয়াঁদাদ কানেক্ট করে দেয়। এখনও সেই ম্যাচের কথা ভাবলে ঘুম আসে না। পুরো দলের মনোবল ভেঙে দেয় সেই হার, যা আমাদের বয়ে বেড়াতে হয় পরের চার বছর। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুবই কঠিন ছিল,' যোগ করেন কপিল।

শারজায় ১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনালে সেবার ভারতকে ১ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শ্রীকান্তের ৭৫, সুনীল গাভাস্কারের ৯২ ও ভেঙ্গসরকারের ৫০ রানে ৭ উইকেটে ২৪৫ রান তোলে ভারত। জবাবে মিয়াঁদাদের ১১৬ রানে ভর করে শেষ বলে লক্ষ্যে পৌঁছায় পাকিস্তান।

Comments

The Daily Star  | English

Supernumerary promotion: Civil bureaucracy burdened with top-tier posts

The civil administration appears to be weighed down by excessive appointments of top-tier officials beyond sanctioned posts, a contentious practice known as supernumerary promotion.

8h ago