‘এশিয়া কাপের মধ্যেই মুশফিক বিদায় বললে খারাপ হতো না’
এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়ে দেশে ফেরার একদিন পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মুশফিকু রহিম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়ে দেন বিদায় বার্তা। তবে সাবেক ক্রিকেটার ও নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, মাঠ থেকে বিদায় নিলেই ব্যাপারটা সুন্দর হতো। মুশফিকের মনে যদি সেটা থেকেই থাকবে, তাহলে এশিয়া কাপের মধ্যে বলে দিলে ভাল করতেন।
বেশ কিছু দিন ধরেই টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকের ব্যাটে ভাটার টান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বিশ্রামের আদলে বাদও পড়েছিলেন। পরে ফিরে এসে এশিয়া কাপের আগ পর্যন্ত খেলেছেন কেবল এক ম্যাচ।
এশিয়া কাপের দুই ম্যাচের ব্যর্থতার পর কুড়ি ওভারে নিজের শেষ দেখে ফেলেন তিনি। গত এক বছরে ১৬টি ম্যাচ খেলে ১৬.৭৬ গড় আর ৯২.৩৭ স্ট্রাইকরেটে স্রেফ ২১৮ রান করেছেন মুশফিক। তার পুরো টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যানও বেশ হতাশাময়। ১০১ ম্যাচ খেলে ১৯.৪৮ গড় আর ১১৫.০৩ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ১৫০০ রান।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মিরপুরের বিদায় নিয়ে গণমাধ্যমকে রাজ্জাক বলেন, মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতিটা চালু করার সুযোগ ছিল মুশফিকের সামনে, 'আমি মনে করি মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারলে তো খুবই ভালো। যেই জাতীয় দলে খেলে সেই কিছু না কিছু করেছে, অবশ্যই সবাই মাঠ থেকে বিদায় নেওয়া ডিজার্ভ করে। এটা যার যার সিদ্ধান্ত। মুশফিক তার সিদ্ধান্ত এভাবে জানিয়েছে। যদি ওর মনে অবসরের চিন্তা এসে থাকবে তাহলে এশিয়া কাপের মধ্যে বলে দিলে খারাপ হতো না। যেহেতু সে এটা বলবেই।'
'বলার যদি ইচ্ছা ছিল ম্যাচের মধ্যে বললে খারাপ হতো না। সংস্কৃতিটা চালু হতো। আমরা দেখেছি অন্য দেশের বড় বড় খেলোয়াড়রা মাঠ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে দেয়। আমাদেরও এই সংস্কৃতিটা হলে ভালো হয়।'
মুশফিক অবসরে গেলেও এই জায়গায় একাধিক খেলোয়াড়ের মধ্যে লড়াই আছে বলে জানান রাজ্জাক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে দল দিবেন তারা। সেজন্য সর্বশেষ স্কোয়াডের বাইরেও বেশ কয়েকজনকে বাজিয়ে দেখা হচ্ছে।
Comments