নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ল অস্ট্রেলিয়া

প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত ছিল অস্ট্রেলিয়ার। শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই লক্ষ্য ছিল নিউজিল্যান্ডের। আগের দুই ম্যাচ এক পেশে হলেও এদিন লড়াইটা দারুণ করেছিল কিউইরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি দলটি। ফলে কিউইদের হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ল অস্ট্রেলিয়া।

প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত ছিল অস্ট্রেলিয়ার। শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই লক্ষ্য ছিল নিউজিল্যান্ডের। আগের দুই ম্যাচ এক পেশে হলেও এদিন লড়াইটা দারুণ করেছিল কিউইরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি দলটি। ফলে কিউইদের হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ল অস্ট্রেলিয়া।

রোববার কাজালিস স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ২৫ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৬৭ রান করে তারা। জবাবে ১ বল বাকি থাকতে ২৪২ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।

মূলত সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের অসাধারণ সেঞ্চুরির কারণেই হারে নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের একাদশ সেঞ্চুরি তুলে খেলেন ১১৫ রানের ইনিংস। এরপর বাকি কাজ করেন বোলাররা। তাতেই জয়ের ধারা ধরে রাখে অজিরা।

লক্ষ্য তাড়ায় নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ভালোই ছিল। দুই ওপেনার ফিন অ্যালান ও ডেভন কনওয়ের ওপেনিং জুটিতে ৪৯ রান। কিন্তু এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকতে দলটি। ফলে দলীয় ১১২ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় তারা।

এরপর অবশ্য জেমস নিশামকে নিয়ে দলের হাল ধরেন গ্লেন ফিলিপ্স। ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৬১ রানের জুটি। নিশামের বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। এরপর মিচেল স্যান্টনারকে নিয়ে ৫১ রানের আরও জুটি গড়েন ফিলিপ্স। কিন্তু তা যথেষ্ট হয়নি কিউইদের জন্য।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন ফিলিপ্স। ৫৩ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। নিশাম খেলেন ৩৬ রানের ইনিংস। অ্যালানের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। ৩০ রান করেন স্যান্টনার। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৬০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ২টী করে উইকেট পান ক্যামেরুন গ্রিন ও শেন অ্যাবট।  

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৬ রানেই দুই ওপেনার জশ ইংলিশ ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। এরপর মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন স্টিভ স্মিথ। তৃতীয় উইকেটে ১১৮ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। লাবুশেনকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন লোকি ফার্গুসন।

এরপর আলেক্স কেয়ারিকে দলের হাল ধরেন স্মিথ। গড়েন আরও একটি দারুণ জুটি। চতুর্থ উইকেটে ৬৯ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর সপ্তম উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটিতে ২৬৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়ে যায় দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন স্মিথ। ১৩১ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। লাবুশেনের ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। ৭৮ বলে ২টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৪৩ বলে অপরাজিত ৪২ রান করেন কেয়ারি। ১২ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ২৫ রানের ক্যামিও খেলেন ক্যামেরুন গ্রিন।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka-dwellers continues to deplete at a dramatic rate and threatens to disappear far below the ground.

1h ago