'বাবর-রিজওয়ানের এতো রান করে লাভ কী?'

টি-টোয়েন্টি সংস্করণে গত কয়েক বছর ধরেই দারুণ খেলছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। আইসিসির র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানও তাদের দখলে। কিন্তু তারপরও তাদের সমালোচনা করতে ছাড়েননি পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার আকিব জাভেদ। এমনকি তাদের এতো এতো রান দলের জন্য আদৌ কার্যকর নয় বলেও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপে এবার ফাইনালে খেলেছে পাকিস্তান। কিন্তু শিরোপা জিততে পারেনি তারা। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৭১ রান তাড়া করতে নেমে ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। মিডল অর্ডার ব্যাটারদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। মাত্র তিনজন খেলোয়াড় ডাবল ফিগার স্পর্শ করেছিল। রিজওয়ান প্রায় ১৬ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করলেও ততোটা কার্যকরী হয়নি তার ইনিংস।

এশিয়া কাপে এবার সর্বোচ্চ রান করেছেন রিজওয়ান। কিন্তু ওপেনার হিসেবে নেমে কম স্ট্রাইক রেটের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। ছয় ইনিংসে ১১৭.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ২৮১ রান করেছিলেন। তার ওপেনিং সঙ্গী বাবরের তো ব্যাট হাতে আসরটাই ভালো যায়নি। ছয় ম্যাচে করেছেন মাত্র ৬৮ রান। দুইজনের কেউই নেমেই তেড়েফুঁড়ে খেলার মতো খেলোয়াড় নন।

সবমিলিয়ে সমালোচকদের রোষানলে পড়েছেন বাবর ও রিজওয়ান। এ ওপেনিং জুটির তীব্র সমালোচনা করেছেন আকিব। লক্ষ্য বড় হলে অন্য কোনো ব্যাটারের বিধ্বংসী ইনিংসের অপেক্ষায় থাকতে হবে জানিয়ে বলেন, 'বাবর এবং রিজওয়ান কখনোই দলের বাইরে থাকবেন না, কারণ তারা রান করে চলেছেন। কিন্তু তাদের রান করে লাভ কী? আপনি শুধুমাত্র সেই ম্যাচটি জিতবেন যেখানে লক্ষ্য ১৫০-এর মধ্যে রয়েছে। আপনি যখন ১৮০ রানের লক্ষ্য পাবেন, তখন আপনার একটি ইনিংস প্রয়োজন হবে যেমনটা (ভারতের বিপক্ষে) মোহাম্মদ নাওয়াজ চার নম্বরে খেলেছিলেন।'

মিডল অর্ডার ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ, আসিফ আলি এবং খুশদিল শাহর পাফরম্যান্সেও খুশি নন আকিব। বয়সের কারণে শোয়েব মালিককে সরিয়ে দেওয়ায় নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সমালোচনা করেছেন, 'শোয়েব মালিক ছিলেন। আপনার যদি কারো বয়স নিয়ে সমস্যা থাকে, তাহলে অন্তত আপনার ভালো বিকল্প প্রস্তুত থাকা উচিত। আপনি জোর করে কাউকে সরিয়ে দিয়েছেন। আসিফ আলি কি তার জায়গায় খেলবেন? নাকি ইফতেখার? নাকি খুশি (খুশদিল)?'

এছাড়া ফখর জামানের ব্যাটিং পজিশন নিয়েও সন্তুষ্ট নন বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক এ পেসার, 'আপনি ফখরকে তিনে নামিয়ে নষ্ট করছেন। সে একজন ওপেনার। পাওয়ারপ্লে দেওয়া হয় একটি কারণে, আইসিসি চায় ব্যাটাররা প্রথম ছয় ওভারে আক্রমণাত্মক খেলুক। কিন্তু আমরা তা করি না। আমরা কীভাবে ছয় ওভারে ৬০ রান করব? অস্ট্রেলিয়ার মাঠে অনেক বড়, বল অনেক বেশি বাউন্স করবে। এটা একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Child victims of July uprising: Of abandoned toys and unlived tomorrows

They were readers of fairy tales, keepers of marbles, chasers of kites across twilight skies. Some still asked to sleep in their mother’s arms. Others, on the cusp of adolescence, had just begun to dream in the language of futures -- of stethoscopes, classrooms, galaxies. They were children, dreamers of careers, cartoons, and cricket.

10h ago