বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ‘প্রথম ধাপ’ পার হওয়া নিয়ে শঙ্কায় শোয়েব
এশিয়া কাপের ফাইনালে যেতে পারলেও পাকিস্তানের খেলার ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন শোয়েব আখতার। শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর তার সমালোচনা আরও চড়া হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড দেখে সাবেক এই গতি তারকা রীতিমতো ফুঁসছেন। তার মতে এমন দল নিয়ে পরের ধাপে যেতে পারবে না বাবর আজমের দল।
গত বৃহস্পতিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের দল দিয়েছে পাকিস্তান। চোট কাটিয়ে তাতে ফিরেছেন দলের সেরা পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি। তবে বাদ পড়েছেন টপ অর্ডার ব্যাটার ফখর জামান।
মিডল অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও সেই জায়গায় হাত দেওয়া হয়নি। এটা দেখেই অবাক শোয়েব। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রশ্ন তুলেছেন দল নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে, 'এ কেমন দল নির্বাচন ভাই? তারা বলল নির্বাচনের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রাখা হবে যা সবার পছন্দ হবে। কিন্তু মিডল অর্ডারেই কোন বদল নেই। মূল সমস্যা ছিল মিডল অর্ডারে। সেখানেই তারা কোন গুরুত্ব দিল না।।'
'আমি অনেকবার বলেছি ফখর জামানকে পাওয়ার প্লে খেলতে দিন কারণ অস্ট্রেলিয়ায় সে কার্যকর হবে। বাবর আজমকে টপে রাখুন।'
প্রধান নির্বাচক মোহাম্মদ ওয়াসিম ও প্রধান কোচ সাকলেয়ন মুশতাকের কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের বোঝাপড়া নিয়েও প্রশ্ন তার, 'প্রধান নির্বাচক (মোহাম্মদ ওয়াসিম) যখন মাঝারি মানের, সিদ্ধান্ত এরকম হবেই। আর সাকলায়েন (মুশতাক) সর্বশেষ ক্রিকেট খেলেছে ২০০২ সালে। সে আবার বন্ধু তাই বলতে খারাপ লাগছে কিন্তু সে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কিছুই বুঝে বলে মনে হয় না।'
'মোহাম্মদ ইউসুফ আছে দলে। সে থাকার পরও কীভাবে ব্যাটিং পারফর্ম করে না? ড্রেসিংরুমের জন্য ইউসুফ বড় সম্পদ। কিন্তু তার কথা বলার অবস্থা কতটা আছে আমি জানি না।'
এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে মূলত ভুগিয়েছে মন্থর ব্যাটিং। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান করলেও মোহাম্মদ রিজওয়ানের স্ট্রাইকরেট ছিল স্রেফ ১১৭। ফাইনালে ১৭১ রান তাড়ায় ৪৯ বলে তিনি করেন কেবল ৫৫ রান। তার সঙ্গে জুটিতে ৩১ বলে ৩২ করেন ইফতেখার। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩৩ বলে তিনি করেছিলেন ৩০ রান। মিডল অর্ডারে ইফতেখার দলে থাকা নিয়েই বেশি ক্ষুব্ধ শোয়েব, 'মাশাল্লাহ ইফতেখার (আহমেদ) তো আমাদের দ্বিতীয় মিসবাহ। আমাদের এমনিতেই রিজওয়ান আছে (মন্থর ব্যাট করার প্রসঙ্গে), এখন ইফতেখারও যুক্ত হলো।'
শোয়েবের মতে ব্যাটিংয়ে পর্যাপ্ত ফায়ার পাওয়ার ও গভীরতা না থাকায় বিশ্বকাপে ভুগতে হবে পাকিস্তানকে, 'এই দল নিয়ে হয়ত বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডেই (আসলে সুপার টুয়েলভ) আমরা বাদ পড়ব। আমি ভয় পাচ্ছি কারণ আমাদের ব্যাটিংয়ে গভীরতা নেই। আমাদের অধিনায়ক এই সংস্করণের সঙ্গে জুতসই নয়, কারণ সে বরাবরই দৃষ্টিনন্দন কাভার ড্রাইভের খোঁজে থাকে।'
বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে গ্রুপ-২ এ পাকিস্তানের সঙ্গে আছে ভারত, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা। কোয়ালিফায়ার রাউন্ড পেরিয়ে এই গ্রুপ যোগ দিতে পারে শ্রীলঙ্কাও। এই গ্রুপ থেকে সেরা দুটি দল যাবে সেমিফাইনালে। পাকিস্তানের জন্য কাজটা আসলে খুব সহজ না।
Comments