‘সব সময় নিজেকে প্রকাশ করতে চাই’

১৮৭ রান তাড়ায় শুরুতেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেও চতুর্থ ওভারে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় ভারত। এরপর বিরাট কোহলির সঙ্গে মিলে দারুণ জুটিতে দলকে খেলায় ফেরান সূর্যকুমার যাদব। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে দলকে করে দেন জেতার রাস্তা। দারুণ ছন্দে থাকা এই ডানহাতি জানালেন, বরাবরই তার লক্ষ্য থাকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে নিজেকে প্রকাশ করা।
হায়দরাবাদে সিরিজ নির্ধারনী টি-টোয়েন্টিতে শেষ ওভারের উত্তেজনা অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারায় ভারত। দলের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান সূর্যকুমারের। মাত্র ৩৬ বলে ৫টি করে চার ছক্কায় ৬৯ করে যান তিনি। কোহলি ৬৩ করে অপরাজিত থাকলেও খেলেন ৪৮ বল। রেনরেটের চাপ সব সামাল দেন সূর্যকুমার।
ম্যাচ সেরা হয়ে এই ডানহাতি জানান, উইকেট পড়ে দল চাপে থাকলেও নেমেই মারার চিন্তা ছিল তার, 'ওই পরিস্থিতিতে ভীষণ দরকার ছিল (মেরে খেলা)। ভেবেছি সুযোগ নিতে হবে। দুই-তিনটা শট আমার মাথায় ছিল। মিড অফের উপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলাম। চিন্তাটা বরাবর একই থাকে, সবসময় নিজেকে প্রকাশ করতে চাই। এভাবেই নেটে অনুশীলন করি। চার নম্বরে খেলতে ভালোবাসি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অনেক দায়িত্ব আর চ্যালেঞ্জ থাকবে। নিজেকে প্রকাশ করতে কখনই দ্বিধা করা যাবে না, চতুর হতে হবে।'
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬২ বলে কোহলি-সূর্যকুমার যোগ করেন ১০৪ রান। যাতে ৩৬ বলে ৬৯ আসে সূর্যের ব্যাট থেকে। কোহলি ওই সময় করেন ২৬ বলে ৩৬।
সূর্যকুমারে রণমূর্তির পাশে রয়েসয়ে খেলতে দেখা যায় কোহলিকে। ম্যাচ শেষে তিনি জানান, দলের নির্দেশই ছিল এরকম, 'যখন সুরিয়া (সূর্যকুমার) এরকম মারতে শুরু করল, আমি তখন ডাগআউটের দিকে তাকালাম। রোহিত ও রাহুল দুজনেই আমাকে বল, 'তুমি খালি ব্যাট করে যাও।' কারণ সুরিয়া যেভাবে মারছিল, এখানে কেবল জুটির দরকার ছিল। আমি কেবল আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছি।'
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সূর্যকুমারের ক্যারিয়ার স্ট্রাইকরেটই ১৭৪.১। অবিশ্বাস্য সব শটে মাঝের ওভারে ব্যবধান গড়ে দিচ্ছেন তিনি।
Comments