ওপেনিং নিয়ে ‘ট্রায়াল’ চলছে, ত্রিদেশীয় সিরিজেও হবে বদল
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোন দুজন বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস ওপেন করতে নামবেন? এটা এখনো অনিশ্চিত। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে খোদ বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, দলের আদর্শ সমন্বয় পেতে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজেও নানান কিছু বাজিয়ে দেখবেন তারা।
এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওপেনিংয়ে চমক উপহার দেয় বাংলাদেশ। মেইক শিফট ওপেনার হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমানকে নামানো হয়। যা দেখে অবাক হয়েছিলেন বিসিবি সভাপতিও। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজেও এই দুজনই নামেন ওপেন করতে।
তিন ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচে মিরাজ রান পেলেও সাব্বির ছিলেন ব্যর্থ। রান পাওয়া মিরাজের পেস বল সামলানো নিয়েও আছে প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে এই জুটিই থাকছে কিনা তা বুঝে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে কেক কাটতে আসেন নাজমুল। দুবাই থেকে ফিরে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও এসেছিল বোর্ডে। তাকে নিয়েই বিসিবি প্রধান সভা করেন।
পরে গণমাধ্যমকে জানান, আদর্শ ওপেনিং জুটি খুঁজে পেতে নানান কিছু চেষ্টা করছেন তারা। সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে নিউজিল্যান্ডেও, 'না (এটাই যথার্থ কিনা)। আসলে ওপেনিং এইগুলো চেষ্টা করছে তারা। আমি যখন প্রথম শুনলাম আজকে নামবে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির। আমি তো অবাক। আমি খালি বলেছিলাম, "আমি কখনো সাব্বিরকে ওপেন করতে শুনিনি,দেখিনি।" আমার ধারণা এইগুলা ট্রায়াল দিচ্ছে, চেষ্টা করছে। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে আরও কিছু চেষ্টা করবে। তারপর ঠিক করবে। বিশ্বকাপে যে দলটা খেলবে। এটাকেই আমরা কন্টিনিউ করব টানা এক বছর পরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত।'
শেষ পর্যন্ত যে কম্বিনেশন খুঁজে বের করে বিশ্বকাপে নামানো হবে, সেই দলটাকেই আগামী বেশ কিছুদিন টানা খেলাতে চান বিসিবি সভাপতি, 'প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছিল গত দেড় বছরে। এই এক্সপেরিমেন্টগুলো বন্ধ করে এদেরকে টানা এক বছর খেলাতে হবে। একটা স্কোয়াড তৈরি করে খেলাতে হবে। যেটা শ্রীলঙ্কা করেছে, এবং সফল হয়েছে। চার বছর একটা নতুন দলের উপর কাজ করে ফল পেয়েছে।'
আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের ফল নিয়ে সন্তুষ্টি থাকলেও অস্ট্রেলিয়ায় ভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে। বিশ্বকাপে নামার আগে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ তাই বড় পরীক্ষার মঞ্চ মনে করছে বিসিবি। আপাতত সেদিকে চোখ বোর্ড প্রধানের, 'একটা জিনিস মনে রাখতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশ। ওই অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন, এখানে কতগুলো ছেলে তাদের কোন ধারণাই নাই। ওখানকার যে উইকেট, ওখানকার যে পেস-বাউন্স। ওখানে যাদের বিরুদ্ধে খেলবে। উদাহরণ দেই যেমন, রাবাদা, বুমরাহ, শাহিন আফ্রিদি। কাজেই জিনিসটা একদম ভিন্ন। কিন্তু আমার ধারণা নিউজিল্যান্ডে যেহেতু একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে। এটাতে তাদের হয়ত কিছু অনুশীলন হবে। দেখা যাক ওখানে কি করে।'
Comments