মালয়েশিয়ার ক্রিকেটে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে
১৮৮০ সালের দিকে ব্রিটিশদের হাত ধরে ক্রিকেটের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল মালয়েশিয়ায়। কিন্তু পরে আর কখনই তেমনভাবে সেখানে ক্রিকেটটা জনপ্রিয় করা যায়নি। মালয়েশিয়ার ছেলেদের দল ১৯৬৭ দাল থেকে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ। তবে মাঝারি পর্যায়েও ক্রিকেট খেলা হয়নি তাদের। সেদিক থেকে মেয়েরা বেশ এগিয়ে। এশিয়ান সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার সুযোগ পেয়েছে তারা।
এবার এশিয়া কাপে দুর্বল দলগুলোর একটি মালয়েশিয়া। দলের অধিনায়ক উইনফ্রড দুরাইসিঙ্গাম শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত। তার দাদা দেশটিতে থিতু হওয়ার পর তার জন্ম ও বেড়ে উঠা সেখানেই। অবশ্য তাদের দলে স্থানীয় শেকড়ের মানুষের সংখ্যাই বেশি।
রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে কোন লড়াই করতে পারেনি তারা। ২০ ওভার ব্যাট করেও করতে পারে স্রেফ ৫৭ রান, পাকিস্তান যা তুড়ি মেরে উড়িয়ে জিতে যায়। এমন বিধ্বস্ত হয়েও মনমরা নন উনফ্রেড। জানালেন টুর্নামেন্টটা তাদের কাছে অভিজ্ঞতা অর্জনের মিশন, 'আমার মনে হয় খুব ভালো অভিজ্ঞতা হচ্ছে আমাদের। দলে অনেক তরুণী আছে। সবারই আসলে ভালো অভিজ্ঞতা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের সঙ্গে লড়াই করার সুযোগ পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। কারণ আমরা নিয়মিত এরকম খেলার সুযোগ পাই না।'
মালয়েশিয়ায় জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। মানুষের মধ্যে ক্রিকেট নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মেয়েদের হাত ধরে ক্রিকেটেরও একটা অবস্থান তৈরির কথা জানালেন উনফ্রেড, 'আমরা ধীরে ধীরে এগুচ্ছি। আমরা র্যাঙ্কিংয়ে ২৫ নম্বরে আছি। আমাদের ক্রিকেটের মান উন্নতি হচ্ছে। স্কুল পর্যায়ে অনেক এগিয়ে আসছে। এখানে আমাদের সবার জন্যই শেখার পর্যায়।'
'ক্রিকেট এখন বড় জায়গায় যাচ্ছে। আস্তে আস্তে হচ্ছে। আমাদের ওখানে প্রথম খেলা ফুটবল অবশ্যই। এখন ক্রিকেট বাড়ন্ত অবস্থায়, এটা একটা ভাল দিক।'
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে নাড়ির সংযোগের কারণেই উইনফ্রেডের আইডল কুমার সাঙ্গাকারা। তিনি ডানহাতি ব্যাটার ও মিডিয়াম পেসার হলেও সাঙ্গাকারাকে নিবিড়ভাবে অনুসরণ করেন, 'আমি যখন খেলা শুরু করি তখন আমার আইডল ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। তিনি যদিও বাঁহাতি। আমি এখনো তাকে অনুসরণ করি, তিনি যেমন টেকনিক ব্যাবহার করতেন, যেভাবে ব্যাট করতেন। আর বোলিংয়ে ব্রেট লিকে আদর্শ মনে করি। '
Comments