ক্যাচ মিসেই হেরেছে পাকিস্তান, বললেন মালান

এক ডেভিড মালানই পেলেন দুটি সহজ জীবন। পেয়েছেন তার সঙ্গে ঝড় তোলা হ্যারি ব্রুকসও। ফলে এ দুই ব্যাটারকে আর আউট করা যায়নি। ইংল্যান্ডও দাঁড় করায় বড় লক্ষ্য। যে লক্ষ্য আর টপকাতে পারেনি পাকিস্তান। বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ খোয়ায় স্বাগতিকরা।

এক ডেভিড মালানই পেলেন দুটি সহজ জীবন। পেয়েছেন তার সঙ্গে ঝড় তোলা হ্যারি ব্রুকসও। ফলে এ দুই ব্যাটারকে আর আউট করা যায়নি। ইংল্যান্ডও দাঁড় করায় বড় লক্ষ্য। যে লক্ষ্য আর টপকাতে পারেনি পাকিস্তান। বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ খোয়ায় স্বাগতিকরা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে রোববার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। সাত ম্যাচের সিরিজের আগের ছয় ম্যাচে তিনটি করে জয় পেয়েছিল দুই দলই। তাই ম্যাচটি ছিল অলিখিত ফাইনাল। আর সে ফাইনালে পাকিস্তানকে ৬৭ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নেয় ইংলিশরা।

আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৯ রান করে ইংল্যান্ডরা। তবে এতো রান নাও করতে পারতো দলটি। ব্যক্তিগত ২৯ রানে এক্সট্রা কভারে মালানের সহজ ক্যাচ ছাড়েন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। সেই মালান ৪৭ বলে করেছেন হার না মানা ৭৮ রান। এরপর ব্যক্তিগত ২৪ রানে হ্যারি ব্রুকসের ক্যাচও ফেলেন বাবর। তিনিও করেন ২৯ বলে অপরাজিত ৪৬ রান। এরপর মালানের আরও একটি ক্যাচ ছাড়েন ওয়াসিম জুনিয়র।

ম্যাচ শেষে জীবন পাওয়া নিয়ে মালান বলেন, 'উইকেট সত্যিই ভালো ছিল। প্রথম ১২-১৪ ওভারে বল সুন্দরভাবে এসেছে। আমরা ভাগ্যক্রমে কয়েকটি সুযোগ পেয়েছি। আমাদের কিছু ক্যাচ ড্রপ হয় যা আমাদের পক্ষে চলে আসে, আমরা একটি জুটি তৈরির চেষ্টা করে করি এবং কোনো উইকেট না হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে সক্ষম হয়েছি।'

বড় স্কোর করতে না পারলে জিততে পারবেন না, তা উইকেটে নেমেই বুঝতে পেরেছিলেন ইংলিশরা। মালানের ভাষায়, 'যখন আমরা এই উইকেট দেখি, বুঝতে পেরেছি যে ১৬০-১৭০ রান জয়ের জন্য পর্যাপ্ত স্কোর না, বিশেষকরে শিশিরের কারণে। তাই আমরা চেষ্টা করে সুযোগ নিয়েছি এবং ধারণার চেয়ে অনেক বেশি রান করার সুযোগ নিয়েছি, আমার মনে হয় আমরা তা করতে পেরেছি।'

উইকেট ও কন্ডিশন বিচার করেই নিজেদের ব্যাটিং করেন বলে জানান মালান, 'আমরা সবসময় ইতিবাচক বিকল্প চাই। আমরা স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি এবং কন্ডিশন আমাদের যা খেলতে বলে তাই খেলার চেষ্টা করি। তাই এটা যদি ২০০ রানের উইকেট হয়, আমাদের ২০০ রান করার জন্য স্ট্রাইক রেট আরো ভাল করতে হবে। এবং যদি আমরা ১৪০ তাড়া করি, আমাদের জিততে যে স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করতে হবে তেমনিভাবে করার চেষ্টা করি।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

10h ago