লোকাল ক্রিকেটেও এমন উইকেট দেখিনি, ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ কোচ

বল প্রায় গড়িয়ে আসছে, মন্থর গতিতে নিচ্ছে বাঁক। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড দুইয়ের কঠিন ২২ গজে খাবি খেয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। দলের বাজে পারফরম্যান্সের দায় স্বীকার করে নিলেও কোচ একেএম মাহমুদ ইমন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন উইকেট নিয়ে। জানিয়েছেন, স্থানীয় ক্রিকেটেও এমন উইকেট দেখেননি তিনি।

মেয়েদের এশিয়া কাপে গতকাল সোমবার সকালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭০ রানে গুটিয়ে পরে ৯ উইকেট ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। ম্যাচটি যে উইকেটে খেলা হয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট ছিল না দুই দলের কেউই। ম্যাচ জিতে আসা পাকিস্তানের ওপেনার সিদ্রা আমিনও জানান, টি-টোয়েন্টির জন্য একদম আদর্শ নয় এই উইকেট।

বড় হারের পর মঙ্গলবার বিশ্রামে ছিল বাংলাদেশ দল। তবে কোচ ইমন কথা বলতে আসেন গণমাধ্যমে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এক নম্বর গ্রাউন্ডে দাঁড়িয়ে জানান উইকেট নিয়ে তার হতাশা, 'আমি সত্যি কথা যদি বলি, আমি ঘরের দল হিসেবে সুবিধা চাই না। কিন্তু একটা স্পোর্টিং উইকেটের প্রয়োজন। আমি সব জায়গায় দেখেছি, যত জায়গায় মেয়েদের ক্রিকেটের খেলা হয়েছে, চেষ্টা করে স্পোর্টিং উইকেট দেওয়ার।'

'এটা যেহেতু আমার নিজের জেলা। আমি লোকাল ক্রিকেটেও এরকম উইকেট দেখিনি। এটা মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য, আমাদের যে এফটিপি ট্যুর আছে, যে কাজগুলো আছে, আমাদের বিশ্বকাপ আছে দক্ষিণ আফ্রিকায়, আমাদের মনোবল ও প্রস্তুতির জন্য এটা (এই উইকেট) পিছিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।'

'আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, উইকেটের যে আচরণ ছিল এটা ডিসাইডেড (আগেই ফল নির্ধারিত হয়ে যাওয়ার মতো) ম্যাচ ছিল। আপনারা দেখতে পারবেন উইকেটের আচরণটা। তারপরও আমরা তিন বিভাগেই খারাপ খেলেছি।'

উইকেট নিয়ে নিজেদের আপত্তির জায়গা লিখিতভাবেও আয়োজক এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছে বাংলাদেশ, 'কালকে আমাদের ম্যানেজার ও আম্পায়ার্স রিপোর্ট দিয়েছে এটা নিয়ে। উইকেট নিয়ে অবশ্যই আমাদের কনসার্ন পারসনদের (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের) সঙ্গে কথা হয়েছে। তারাও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।'

'এটা আপনারা দেখতে পারছেন যে এটা আমাদের জন্য উপকারি না অপকারি। আমরা বাইরে যে ধরনের উইকেট পাব, দেশে তো সেটার প্রস্তুতি নিতে হবে।'

'যেহেতু এটা এসিসির টুর্নামেন্ট। এসিসির যারা প্রতিনিধি তাদের কাছেই দিয়েছি।'

সিলেটের এই কোচ স্থানীয় দুটি মাঠের সঙ্গেই ভীষণভাবে পরিচিত। এখানে মেয়েদের ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলাও চালানো হয়। সারা বছর মেয়েদের ক্যাম্প চলে। তবু তার মতে, এমন উইকেট তিনি প্রথম দেখলেন, 'আমি মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে যতদিন ধরে কাজ করেছি, আমি এরকম উইকেট দেখিনি।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasnat calls for mass rally after Juma prayers demanding AL ban

The announcement came during an ongoing protest programme that began last night in front of Jamuna.

1h ago