রুশোর সেঞ্চুরিতে ভারতকে হারাল দ. আফ্রিকা

আগের দুটি ম্যাচেই ফিরেছেন খালি হাতে। তার মতো দলও ব্যর্থ হয়েছে সে দুই ম্যাচে। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন রাইলি রুশো। করলেন ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। তাতে দলও পেল সিরিজের প্রথম জয়। তার ব্যাটে চড়েই শেষ ম্যাচে জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াল দক্ষিণ আফ্রিকা।

মঙ্গলবার ইন্দোরে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারতকে ৪৯ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৭ রান করে প্রোটিয়ারা। জবাবে ৯ বল বাকি থাকতে ১৭৮ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই বড় চাপে পড়ে ভারত। স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ হতেই হারায় দুটি উইকেট। কাগিসো রাবাডার বলে খালি হাতে বোল্ড হয়ে যান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। আর ব্যক্তিগত ১ রানে ওয়াইন পারনেলের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন শ্রেয়াস আইয়ার। 

এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওপেনিংয়ে নামা রিশাভ পান্তকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন দিনেশ কার্তিক। ৪১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন এ দুই ব্যাটার। পান্তকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন লুঙ্গি এনগিডি। তবে কার্তিক এক প্রান্ত আগলে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। দলীয় ৭৮ রানে কেশব মহারাজের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।

এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। ফলে দলীয় ১২০ রানে আট উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। তবে নবম উইকেটে উমেশ যাদবকে নিয়ে চেষ্টা চালান দিপক চাহার। ৪৮ রানের জুটি গড়ে লড়াই প্রায় জমিয়ে দিয়েছিলেন। তবে এ জুটি ভাঙলে আর পেরে ওঠেনি দলটি। কেবল হারের ব্যবধান কমেছে।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন কার্তিক। ২১ বলে সমান ৪টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ১৭ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩১ রান করেন দিপক। ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন উমেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ২৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। ২টি করে উইকেট নেন পারনেল, লুঙ্গি ও মহারাজ।  

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যক্তিগত ৩ রানে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে হারায় দলটি। উমেশ যাদবের শিকার হন এ ওপেনার। এরপর আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কককে নিয়ে দলের হাল ধরেন রিলে রুশো। দ্বিতীয় উইকেটে ৯০ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার।

দলীয় ১০ রানে ডি কক রানআউট হলে ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে জুটি বাঁধেন রুশো। তৃতীয় উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৮৭ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় প্রোটিয়ারা। এরপর স্টাবস আউট হলেও ভারতের সামনে বড় লক্ষ্য দাঁড় করায় সফরকারী দলটি।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রুশো। ৪৮ বলে ৭টি চার ও ৮টি ছক্কায় এ রান করেন এ ব্যাটার। ৪৩ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন ডি কক। ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া স্টাবস করেন ২৩ রান।

Comments