শেষ ওভারেই মিস দুটি ক্যাচ, অজিদের কাছে হারল উইন্ডিজ

হাওয়া ভাসানো বলটি রেইমন রেইফারের হাতেই জমা হচ্ছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে গেল ফসকে। এক বল পর আকাশে উড়ানো আরও একটি সহজ ক্যাচ ছাড়লেন কাইল মেয়ার্স। শেষ ওভারের ঘটনা এ দুটি। তাতে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করেও পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে সিরিজ শুরু করল দলটি।

বুধবার ক্যারারা ওভালে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৫ রান করে ক্যারিবিয়ানরা। জবাবে ১ বল বাকি রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া।

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১ রানের। আগের তিন ওভারে ৩৮ রান খরচ করা শেল্ডন কট্রেল আসেন বোলিংয়ে। প্রথম বলেই হজম করেন বাউন্ডারি। তবে পরের তিন বলে পেতে পারতেন দুটি উইকেট। পেলে হয়তো ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন কিছুও হতে পারতো। কিন্তু ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় কিছুই মিলেনি। হারতে হয় সফরকারীদের। 

তবে অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও ম্যাথিউ ওয়েড যখন ব্যাট করছিলেন তখন মনে হচ্ছিল সহজ জয়ের পথেই এগিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ১৮তম ওভারে ফিঞ্চকে ফিরিয়ে ক্যারিবিয়ানদের ম্যাচে ফেরান আলজেরি জোসেফ। পরের ওভারে প্যাট কামিন্সকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন ওডেয়ান স্মিথ। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেনি দলটি।

যদিও লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। দলীয় ২১ রানেই দুটি উইকেট হারায় তারা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ক্যামেরুন গ্রিনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ৩৫ রানের জুটিতে প্রাথমিক চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

এরপর ২ রানের ব্যবধানে তিনটি উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে অজিরা। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও টিম ডেভিডকে খালি হাতে ফেরান যথাক্রমে ইয়ানিক কারিয়াহ ও জেসন হোল্ডার। তবে পঞ্চম উইকেটে অধিনায়কের সঙ্গে দলের হাল ধরেন ম্যাথিউ ওয়েড। ৬৯ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে দেন তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন ফিঞ্চ। ৫৩ বলে ৬টি চারের সাহায্যে এ রান করেন অধিনায়ক। ২৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ওয়েড। ৫টি চারের সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ২টী করে উইকেট নেন কট্রেল ও জোসেফ।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে অজি পেসারদের তোপে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। দলীয় ১৪ রানেই ভাঙে ওপেনিং জুটি। জনসন চার্লসকে বোল্ড করে দেন জশ হ্যাজলউড। এরপর ব্রান্ডন কিংকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার কাইল মেয়ার্স। ৩৪ রানের জুটিতে প্রাথমিক চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। কিংকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে এ জুটি ভাঙেন হ্যাজলউড।

আর এ জুটি ভাঙতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোনো জুটি। শেষ দিকে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন ওডেয়ান স্মিথ। তিনি রান আউট হলে মাঝারী পুঁজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দলটিকে।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন মেয়ার্স। ৩৬ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন এ ওপেনার। ১৭ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন ওডেয়ান স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩৫ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন হ্যাজলউড। ২টি করে শিকার করেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

12h ago