শ্রেয়াস-স্যামসনের লড়াইয়ের পরও প্রোটিয়াদের কাছে হারল ভারত

বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে এলো ৪০ ওভারে। হেইনরিক ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের আক্রমণাত্মক হাফসেঞ্চুরিতে বড় পুঁজি গড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই উইকেটেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে কাগিসো রাবাদা, ওয়েইন পারনেল ও কেশব মহারাজের বিপরীতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হলো নিয়মিত তারকাবিহীন ভারতকে। পরে শ্রেয়াস আইয়ার ও সঞ্জু স্যামসন ফিফটি করে কেবল হারের ব্যবধানই কমাতে পারলেন।

বৃহস্পতিবার লখনউতে বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ওয়ানডেতে ৯ রানে জিতেছে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে তারা এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ২৪৯ রান তোলে সফরকারীরা। জবাবে পুরো ওভার খেলে ভারত ৮ উইকেট হারিয়ে পৌঁছাতে পারে ২৪০ রান পর্যন্ত।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতের শুরুটাই ভালো হয়নি। দুই পেসার পারনেল ও রাবাডার তোপে দলীয় ৮ রানেই হারায় দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও শুভমান গিলকে। রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ইশান কিশান ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। ৪০ রানের জুটিও গড়েছিলেন। কিন্তু শামসি ও মহারাজের ঘূর্ণিতে শেষ হয় তাদের প্রতিরোধ। রুতুরাজকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে জুটি ভাঙেন শামসি। ইশানকে মালানের ক্যাচে পরিণত করেন মহারাজ।

এরপর আইয়ারকে নিয়ে ফের প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালান স্যামসন। পঞ্চম উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়ে লড়াই চালিয়ে যান এ দুই ব্যাটার। তবে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর আর আগাতে পারেনি আইয়ার। এ ব্যাটার লুঙ্গি এনগিডির শিকার হলে শার্দুল ঠাকুরকে নিয়ে আরেক দফা লড়াই চালান স্যামসন। ষষ্ঠ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৯৩ রান যোগ করেন তারা। এ জুটিও ভাঙেন লুঙ্গি। এরপর আর প্রতিরোধ গড়তে পারেনি ভারত।

তবে এক প্রান্তে চেষ্টা চালিয়েছিলেন স্যামসন। শেষ ওভারে ৩০ রানের লক্ষ্যে চারটি বাউন্ডারিও আদায় করেন। কিন্তু তার সব চেষ্টা কেবল হারের ব্যবধান কমায়। শেষ পর্যন্ত ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৬৩ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৩৭ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৫০ রান করেন শ্রেয়াস। শার্দুলের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ইয়ানেমান মালান ও কুইন্টন ডি কক ভালো সূচনা এনে দেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ৪৯ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। মালানকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন শার্দুল ঠাকুর। এরপর অবশ্য ২২ রানের ব্যবধানে তিনটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকেও ফেরান ঠাকুর। এইডেন মার্করামকে বোল্ড করেন দেন কুলদিপ যাদব।

এরপর আরেক ওপেনার ডি ককের সঙ্গে দলের হাল ধরেন ক্লাসেন। ৩৯ রানের জুটিতে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। দলীয় ১১০ রানে ডি কককে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে এ জুটি ভাঙেন রবি বিষ্ণুই। এরপর ক্লাসেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ডেভিড মিলার। অবিচ্ছিন্ন ১৩৯ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তাতে ভারতের সামনে বড় লক্ষ্যই দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মিলার। ৬৩ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। হার না মানা ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন ক্লাসেন। ৬৫ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। এছাড়া ডি ককের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান। ভারতের পক্ষে ৩৫ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus returns home completing 4-day Japan tour

A flight of Singapore Airlines, carrying the CA landed at Hazrat Shahjalal International Airport at 12:15am on Sunday

7h ago