‘ইন্টেন্ট’ না দেখে হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক

লক্ষ্য ১৬০ রান। কিন্তু বাংলাদেশ ওপেনারদের ব্যাটিং দেখে হবে তারা খেলছেন টেনেটুনে তিন অঙ্ক পার হওয়ার জন্য। হারের চেয়ে তাই খেলার ধরণ বেশি পোড়াচ্ছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ভারতের কাছে স্রেফ উড়ে যাওয়ার পর দলের ব্যাটারদের অভিপ্রায় নিয়ে হতাশা জানিয়েছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি।
শনিবার মেয়েদের এশিয়া কাপে একপেশে ম্যাচে ভারতের কাছে ৫৯ রানে হারে বাংলাদেশ। ভারতের রান টপকাতে গিয়ে পরিস্থিতির দাবি মেটাতে পারেননি কেউ। বিশেষ করে দুই ওপেনার ৯ ওভার পার করে দিলেও রান তুলেন কেবল ৪৫।
পাওয়ার প্লের ৩৬ বলে বাংলাদেশ তুলতে পারে ৩০ রান। ওপেনার মুরশিদা খাতুন ও ফারজানা হক পিংকির এই মন্থর শুরুর সুর ধরেই গোটা ইনিংসে চলেছে ভাটার টান। ম্যাচ শেষে কথা বলতে এসে নিগার একমত হলেন ওপেনারদের লক্ষ্যহীন খেলার ধরণের সমালোচনায়, 'আপনার সঙ্গে আমি একমত (ওপেনারদের লক্ষ্যহীন ব্যাটিং) । কারণ যখন আপনি এত বড় পুঁজি তাড়া করবেন তখন কিন্তু পাওয়ার প্লেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ থাকে। তারা যদি অন্তত ৪৫ এর বেশি কিংবা ৫০ এর কাছাকাছি আসতো তাহলে কিন্তু এত বড় ব্যবধানে আমরা হারতাম না। আরও ভালো হতে পারতো কিংবা আমরা একটা জেতার অবস্থায় যেতে পারতাম। ওইদিক থেকে আমার মনে হয় পিছিয়ে গেছি।'
বোলিং দিয়ে বরাবর লড়াই জমানো বাংলাদেশ দল খুব একটা বড় লক্ষ্য তাড়া করে না। ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ১৬০ রান সেদিক থেকে বেশ কঠিন। তবে রান তাড়ার দক্ষতার চেয়ে চেষ্টার ঘাটতি বেশি চোখে পড়েছে নিগারের, 'স্কিলের ঘাটতি না, আমার কাছে মনে হয় ইন্টেন্টের একটা সমস্যা আছে। যেমন হচ্ছে আমি কেমন ইন্টেন্টে যাবো এটাও একটা বিষয় থাকে। অনেক সময় এসব দলের বিপক্ষে আমরা বিশ্বকাপে গিয়ে খেলছি। সেভাবে সিরিজ খেলছি না। এটাও একটা সমস্যা থাকে। দেখা যায় যাদের সঙ্গে আমরা প্রতিনিয়ত খেলছি বোলারদের কিন্তু ভালো জানছি এবং তাদের বিপক্ষে আমরা ভালো খেলছি। ভারতের বিপক্ষে আমাদের যদি দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে দেন অবশ্যই এর থেকে ভালো ক্রিকেট খেলবো।'
বাংলাদেশ দলটির মূল শক্তির জায়গা বোলিং। এদিন সেখানেও এসেছে হতাশাজনক পারফরম্যান্স। ভারতের দুই ওপেনার প্রথম ১০ ওভারেই নিয়ে নেন ৯১ রান। নিগার সালমা খাতুন, ফারিহা তৃষ্ণাদের পারফরম্যান্সেও জানালেন হতাশা, 'আমরা যেমন বোলিং দল সেটার ছাপ দেখিনি। তৃষ্ণা আগেরদিন খুব ভাল করেছে কিন্তু এদিন আলগা বল দিয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের বোলিং ভাল হয়নি।'
এই হারে সেমিফাইনালের পথে হিসাব নিকেশে পড়ে গেছে বাংলাদেশ। বাকি দুই ম্যাচ জিতলে আর কোন চিন্তা নেই। দুই ম্যাচের একটি সংযুক্ত আরব আমিরাত অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ। আরেক প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা কাছাকাছি শক্তির। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গেলে থাইল্যান্ডের সঙ্গে রানরেটের হিসাব করতে হবে। সেই জায়গায় আপাতত বেশ এগিয়ে স্বাগতিকরা।
Comments