সাকিবের ফিফটির পরও বড় হারে বিদায় বাংলাদেশের

ছবি: এএফপি

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শুরু পেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। চারে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান করলেন হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু বাকিরা থাকলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। ফলে বড় হার মেনে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ।

বুধবার ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে ৪৮ রানে হেরেছে টাইগাররা। হ্যাগলি ওভালে টস জিতে কেইন উইলিয়ামসনবিহীন নিউজিল্যান্ডকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল তারা। ব্যাট করার জন্য দারুণ উইকেটে স্বাগতিকরা ৫ উইকেটে ২০৮ রান জমা করা স্কোরবোর্ডে। জবাবে পুরো ওভার খেলে ৭ উইকেটে ১৬০ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের টানা তৃতীয় হারে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের। চার ম্যাচে তিন জয়ে কিউইদের পয়েন্ট ৬। এক ম্যাচ কম খেলে ৪ পয়েন্ট অর্জন করেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের নামের পাশে কোনো পয়েন্ট নেই।

বাঁহাতি সাকিবের ব্যাট থেকে আসে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭০ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০৩ ম্যাচে এটি তার একাদশ ফিফটি। ৪৪ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি মারেন ৮ চার ও ১ ছক্কা। এক প্রান্ত আগলে একাই লড়ে যাওয়া সাকিব পাননি যোগ্য সঙ্গী। কেবল তৃতীয় উইকেটে সৌম্যের সঙ্গে ২৭ বলে ৪৩ রানের জুটি ছিল তার। বাংলাদেশের ইনিংসের আর কোনো জুটিই ত্রিশের ঘরে যেতে পারেনি।

৩৩ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করা সাকিব বিদায় নেন ১৯তম ওভারে। উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা সাউদির বলে আউট হন তিনি। উইকেটের পেছনে ক্যাচ নেন ডেভন কনওয়ে। এর অনেক আগেই অবশ্য ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

ওপেনার লিটন ১৬ বলে ২৩ রান করেন। প্রায় এক বছর পর জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা সৌম্য ২৩ রান করেন ১৭ বল খেলে। আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত দুবার জীবন পেলেও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। ১২ বলে ১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। 

১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৯০ রান। কিন্তু এই শক্ত অবস্থানের সুবিধা আদায় করা যায়নি পরের ব্যাটারদের বিবর্ণতায়। আফিফ হোসেন ৪ বলে ৪, নুরুল হাসান সোহান ৬ বলে ২ ও ইয়াসির আলি রাব্বি ৬ বলে ৬ রানে আউট হন। মোসাদ্দেক হোসেন ১০ বলে ৯ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৫ বলে ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে পেসার অ্যাডাম মিল্ন ৩ উইকেট নেন ২৪ রানে। ২ উইকেট করে শিকার করেন সাউদি ও মাইকেল ব্রেসওয়েল। উইকেট না পেলেও আঁটসাঁট ছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৪ ওভারে তার খরচা মাত্র ২২ রান।

এর আগে বাংলাদেশের বোলারদের কচুকাটা করে রানের পাহাড় গড়ে নিউজিল্যান্ড। ৪০ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন ছন্দে থাকা কনওয়ে। এই বাঁহাতি তারকার ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ৩ ছক্কা। চারে নেমে ম্যাচসেরা গ্লেন ফিলিপস ২৫০ স্ট্রাইক রেটে খেলেন। তিনি করেন ৬০ রান। মাত্র ২৪ বল মোকাবিলায় ২ চার ও ৫ ছক্কা হাঁকান তিনি।

ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক উইকেটে ধুঁকেছেন বাংলাদেশের ছয় বোলারের সবাই। পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন ছিলেন সবচেয়ে সফল। তবে ৪ ওভারে ২ উইকেট নিতে তিনি খরচ করেন ৩৭ রান। সমান সংখ্যক উইকেট নিতে পেসার ইবাদত হোসেন দেন ৪০ রান।

Comments

The Daily Star  | English

At least 10 incidents in 7 years: Why clashes between CU students and locals keep happening

Housing shortage, resentment, and administrative inaction blamed for repeated clashes

1h ago