জাতীয় লিগে জয় পেল ঢাকা মেট্রো ও সিলেট
জাতীয় ক্রিকেট লিগে নিজ নিন ম্যাচে জয় পেয়েছে সিলেট বিভাগ ও ঢাকা মেট্রো। তবে ড্র হয়েছে বরিশাল বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের ম্যাচটি। স্বাগতিক চট্টগ্রামকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট। আর খুলনার বিপক্ষে ঢাকা মেট্রোর জয় ২ উইকেটে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নাবিল সামাদের ঘূর্ণিতে জয় পায় সিলেট। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে পান ৪টি উইকেট। তাকে দারুণ সহায়তা করেন অফস্পিনার নাঈম আহমেদ। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি তুলে নেন ফাইফার। তাতে চট্টগ্রাম মাত্র ৫১ রানের লক্ষ্য দিতে পারে সিলেটকে।
আগের দিনের ৪ উইকেটে ১৬৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রাম এদিন ২২১ রানে গুটিয়ে যায়। সহজ লক্ষ্যে শুরুতে ইমতিয়াজ হোসেনকে হারালেও তৌফিক খান ও অমিত হাসানের ব্যাটে জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি সিলেটকে। তৌফিক ৩৫ ও অমিত ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অবশ্য ঢাকা মেট্রোর সঙ্গে দারুণ লড়াই করে হেরেছে স্বাগতিকরা। ১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় আগের দিন ৬ উইকেটে ১২৬ রান তুলেছিল ঢাকা মেট্রো। এদিন আরও দুটি উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায়।
অবশ্য স্কোরবোর্ডে এদিন ১৩ রান যোগ হতে আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার জাহিদুজ্জামান ও রাকিবুল হাসানকে তুলে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল খুলনা। তবে আবু হায়দার রনি ও কাজী অনিকের অবিচ্ছিন্ন ২৯ রানের জুটিতে জয় নিশ্চিত করে ঢাকা মেট্রো।
রনি ১৮ ও অনিক ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। জাহিদুজ্জামান করেন ৩২ রান। খুলনার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ২টি করে উইকেট আল আমিন ও টিপু সুলতান।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনে এক বলও মাঠে গড়ায়নি। দ্বিতীয় দিনে করা ৬ উইকেটে ১৮৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে এদিন ২৩১ রানে গুটিয়ে যায়। প্রিতম কুমার ৬১ রান করেন। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সানজামুল ইসলামও। ৫৫ রান করেন তিনি। বরিশালের হয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। এছাড়া তানভির ইসলাম ৩টি ও রুয়েল মিয়াহ ২টি উইকেট পান।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ৭১ রান করে বরিশাল। সালমান হোসেন ৩২ রান করেন। স্বাগতিকদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন নাহিদ রানা ও সানজামুল ইসলাম।
Comments