অস্ট্রেলিয়ায় ‘বিশেষ কিছু’ করে দেখাতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার যেমন সরাসরি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে খেলতে পারছে না। তাদের পেরুতে হবে কোয়ালিফায়ারের আদলের প্রথম পর্বের ধাপ।
darren sammy

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আবির্ভাবের সময় সবাই ধরেই নিয়েছিল ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করবে মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য প্রসিদ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আদতে হয়েছিলও তাই, ২০১২ ও ২০১৬ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকে বার্তা দেয় ক্যারিবিয়ানরা। তবে এরপরই যেন খেই হারিয়ে ফেলে দলটি। এ নিয়ে আজও আক্ষেপে পোড়েন সেই দুই বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দেওয়া ড্যারেন স্যামি।

দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার যেমন সরাসরি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে খেলতে পারছে না। তাদের পেরুতে হবে কোয়ালিফায়ারের আদলের প্রথম পর্বের ধাপ। একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে দুইবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরা স্যামি মনে করেন সিনিয়র ক্রিকেটারদের আগেভাগে বাদ দেওয়াটাই ভুগিয়েছে উইন্ডিজ ক্রিকেটকে, 'দুঃখজনক বিষয় ২০১৬ সালের পর দলটা ভেঙে গিয়েছিল। ২০২১ সালে আবার তাদের ফিরিয়ে আনা হলেও তারা সেরা সময় থেকে অনেক দূরে ছিল। আমাদের সুযোগ ছিল অভিজ্ঞদের সাথে তারুণ্যের মিশেল গড়ার। তবে আমরা আরও শক্তিশালী হওয়ার একটি বড় সুযোগ হারিয়েছি।'

এর আগে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই হোঁচট খেয়েছিল ক্যারিবীয়রা, বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপ পর্বই পেরোতে পারেনি তারা। ২০০৯ এ সেমি পর্যন্ত গেলেও ২০১০ বিশ্বকাপে সুপার এইটেই থামতে হয় ক্রিস গেইলদের। এরপরই ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ গল্প লিখে উইন্ডিজ, চার বছরের মধ্যে ঘরে তোলে দু'টি বিশ্বকাপ শিরোপা।

এরপরই বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলায় দল থেকে বাদ পড়েন বেশ ক'জন সিনিয়র ক্রিকেটার। ২০২১ সালে হতাশার এক বিশ্বকাপ কাটায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ রানের জয় না পেলে খালি হাতেই বিদায় নিতে হতো ক্যারিবীয়দের। দলে ফেরানো সিনিয়র ক্রিকেটারদের কেউই পারেননি জ্বলে উঠতে।

এবার দলের আদলে এসেছে বেশ কিছু বদল। নতুন নেতৃত্ব ও নতুন সমন্বয়ে খেলবে তারা। সময়টা খারাপ গেলেও অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে আবারও আশায় বুক বাঁধছেন স্যামি, 'আমি নিকোলাস পুরানের সাথে কথা বলেছি। সে বলেছে ছেলেরা ভালো অবস্থায় আছে। এই দলটা নিয়ে আমি খুশি কারণ আমাদের অনেক প্রতিভা রয়েছে। আমাদের সবসময়ই ভালো কিছু ব্যাটার থাকে। কাইল মায়ার্স দারুণ টাইমিং করতে পারে। তাছাড়া আমরা সবাই জানি পুরান একজন ম্যাচ উইনার।'

ব্যাটিংয়ে বরাবরের মতোই বেশ কয়েকজন আগ্রাসী ব্যাটার আছেন। তবে বোলিংটা নিয়েও বেশ আশাবাদী স্যামি, 'আপনি আকিল হোসেনের ওপর ভরসা করতে পারেন, সে বোলারদের সেরা দশের একজন। ওডেন স্মিথও প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে।'

সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এবারের দল নিয়ে বাজি ধরতে প্রস্তুত সাবেক এই অধিনায়ক। তার মন বলছে বিশেষ কিছু নাকি ঘটতে পারে অস্ট্রেলিয়ায়, 'আমার একটা মজার অনুভূতি আসছে। মনে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায় বিশেষ কিছু হতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English
Is Awami League heading towards a Pyrrhic victory

Column by Mahfuz Anam: Is Awami League heading towards a Pyrrhic victory?

With values destroyed, laws abused, institutions politicised, and corruption having become the norm, will victory by worthwhile for the Awami League?

9h ago