খারাপ সময়ে নিজেই নিজেকে ভরসা দিতেন নাওয়াজ

নিজের পাওয়ার হিটিং সামর্থ্য এশিয়া কাপেই দেখিয়েছিলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। আজ আরও একবার বিপদের মুখে ত্রাতা হয়ে উদ্ধার করলেন দলকে।
Muhammad Nawaz

নিজের পাওয়ার হিটিং সামর্থ্য এশিয়া কাপেই দেখিয়েছিলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। আজ আরও একবার বিপদের মুখে ত্রাতা হয়ে উদ্ধার করলেন দলকে। তবে পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল জয়ের নায়ক একসময় দেখেছেন মুদ্রোর উল্টো পিঠও।

২০১৬ সালে অভিষিক্ত হওয়া নাওয়াজ পাকিস্তান দলে নিয়মিত হয়েছেন ২০২১ সালে  এসে। মাঝে ২০১৯ ও ২০২০ সালে সুযোগ পাননি একটি ম্যাচেও। সেই কঠিন সময়ে নিজেই সান্ত্বনা দিতেন নিজেকে।

নাওয়াজ বলেন, 'সেই দিনগুলোতে নিজেই নিজেকে সমর্থন যোগাতাম। নেটে যা অনুশীলন করতাম সেটাই স্বচ্ছ মনে করে দেখানোর চেষ্টা করতাম।'

২০২১ এ দলে ফেরার পর ব্যাট হাতে একেবারেই জ্বলে উঠতে পারছিলেন এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। বল হাতে গড়পড়তা পারফরম্যান্স করলেও ভক্ত ও সমালোচকদের জন্য যথেষ্ট ছিল না সেটি। তাকে বাদ না দেওয়ায় পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টকেও পড়তে হতো সমালোচনার কবলে।

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে নাওয়াজ জানান দেন 'লম্বা রেসের ঘোড়া' তিনি। মাত্র ২০ বলে ৪২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে মসৃণ করেন পাকিস্তানের জয়ের পথ। এরপর আবার অনেকগুলো ম্যাচে ব্যাট হাতে কাটান বিবর্ণ সময়। এবার আবার মোক্ষম সময়েই ফিরলেন ফর্মে, তার ব্যাটে চড়ে গতকাল বাংলাদেশ ও আজ বাংলাওয়াশ সিরিজের শিরোপা জিতে নিল পাকিস্তান।

ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজও যখন ব্যাটিংয়ে আসেন নাওয়াজ,  ওভারপ্রতি দশের ওপর রান প্রয়োজন পাকিস্তানের। সেখান থেকে হায়দার আলিকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে মাত্র ২৬ বলে তুলেন ৫৬ রান। এই জুটিতে ১১ বলে ২৪ রান করেন নাওয়াজ। হায়দার ১৫ বলে ৩১ রান করে আউট হয়ে যান। ২২ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে নাওয়াজ বাকি কাজটা সারেন নিঁখুতভাবে।

ম্যাচের পরিস্থিতি নিয়ে ম্যাচসেরা নাওয়াজ বলেন, 'মিডল অর্ডারের ব্যাটিং আমাদের অনেক কাজে দিয়েছে। উইকেট ধরে রেখে পরিকল্পনামাফিক খেলার চেষ্টা করেছি। সোধির বিপক্ষে বাতাসকে কাজে লাগিয়ে আমরা বাউন্ডারি মেরেছি। আবহাওয়া খুবই ঠাণ্ডা ছিল। পাকিস্তান থেকে এসে মানিয়ে নেওয়া কঠিন ছিল। এখন আমরা বিশ্বকাপের জন্য মুখিয়ে আছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

13h ago