ভারতের নারী-পুরুষ ক্রিকেটাররা পাবেন সমান ম্যাচ ফি

এখন থেকে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের সমান ম্যাচ ফি পাবেন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা দেশটির নারী ক্রিকেটাররা।
ছবি: টুইটার

অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো খেলাধুলাতেও পুরুষদের চেয়ে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই নারীরা। তারপরও বরাবরই পুরুষ ক্রিকেটারদের তুলনায় অনেক কম বেতন-ভাতা পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় নারী ক্রিকেটারদের। তবে এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) নিল এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এখন থেকে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের সমান ম্যাচ ফি পাবেন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা দেশটির নারী ক্রিকেটাররা।

বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যম টুইটারে এই ঘোষণা দিয়েছেন বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ। নিজেদের এই পদক্ষেপকে তিনি দেখছেন নারী ও পুরুষের ক্রিকেটারদের মধ্যকার বৈষম্য দূর করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে।

নিজের পোস্টে বিসিসিআই সেক্রেটারি বলেন, 'বৈষম্য দূরীকরণে বিসিসিআইয়ের প্রথম পদক্ষেপ আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি। আমাদের চুক্তিবদ্ধ নারী ক্রিকেটারদের জন্য আমরা সমান পারিশ্রমিক নীতি গ্রহণ করছি। নারী ও পুরুষ ক্রিকেটাররা এখন থেকে সমান ম্যাচ ফি পাবে, যেহেতু আমরা ভারতীয় ক্রিকেটে লিঙ্গ সমতার এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে চলেছি।'

সংস্করণ ভেদে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফির বিস্তারিতও নিজের টুইটে জানিয়ে দেন জয় শাহ, 'বিসিসিআইয়ের নারী ক্রিকেটাররা এখন থেকে তাদের পুরুষ সহকর্মীদের সমান ম্যাচ ফি পাবে। টেস্টে ১৫ লক্ষ ভারতীয় রুপি, ওডিআইতে ছয় লক্ষ ভারতীয় রুপি, টি-টোয়েন্টিতে তিন লক্ষ ভারতীয় রুপি। বেতন-ভাতায় সমতা আনা নারী ক্রিকেটারদের কাছে আমার অঙ্গীকার ছিল। শীর্ষ কাউন্সিলকে তাদের সমর্থনের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। জয় হিন্দ।'

অনেক দিন ধরেই মাঠের পারফরম্যান্সে দেশবাসীকে গর্বিত করে চলেছে ভারত নারী ক্রিকেট দল। সম্প্রতি বাংলাদেশের সিলেটে অনুষ্ঠিত নারী এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। কমনওয়েলথ গেমস ক্রিকেটে ভারতের একমাত্র পদকও (সিলভার) গত বছর এসেছে নারীদের হাত ধরে।

আইসিসির বিশ্ব আসরগুলোতেও উজ্জ্বল ভারতীয় নারীরা। ২০১৭ সালে নারী ওডিআই বিশ্বকাপে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল খেলেছিল তারা। শিরোপা নির্ধারণঈ লড়াইয়ে হারলেও গোটা আসরে আলো ছড়িয়ে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছিল নারীরা।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago