জাতীয় লিগে জাকির-জহুরুল-জুনায়েদের সেঞ্চুরি
জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডে নিজ নিজ ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন জাকির হাসান, জুনায়েদ সিদ্দিকি ও জহুরুল ইসলাম। তিন ব্যাটারই রয়েছেন অপরাজিত। ফলে ইনিংস আরও লম্বা করার সুযোগ রয়েছে তাদের।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে জাকির হাসানের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪ উইকেটে ৩৫১ রান তুলেছে সিলেট বিভাগ। ১৯১ বলে ১৩২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত রয়েছেন জাকির। ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। তার সঙ্গে আসাদুল্লাহ আল গালিব ৪৬ রানে ব্যাট করছেন। এছাড়া তৌফিক খান ৬৮ রান করেন। চট্টগ্রামের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন হাসান মুরাদ।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দিনটা দারুণ কাটিয়েছে রাজশাহী বিভাগ। জহুরুল ইসলাম ও জুনায়েদ সিদ্দিকির সেঞ্চুরিতে বিনা উইকেটে ২৪২ রান করে দিন শেষ করেছে তারা। জহুরুল ১২৭ ও জুনায়েদ ১০৯ রানে ব্যাট করছেন।
প্রথম স্তরের অপর ম্যাচে প্রথম দিনেই হয়েছে ২০ উইকেটের পতন। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পেসারদের তোপে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা বিভাগ। তাদের টপ অর্ডার ভাঙেন সোহেল রানা। একাই পাঁচটি উইকেট তুলে নেন তিনি। এরপর আরিফুল হক ও আবদুল্লাহ আল মামুন জ্বলে উঠতে দেননি মিডল অর্ডার ও লেজের ব্যাটারদেরও। আরিফুল ৩টি ও মামুন ২টি উইকেট পান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রানের ইনিংস খেলেন শুভাগত হোম। তিনি ছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল অধিনায়ক তাইবুর রহমান (১৫)।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে দুই পেসার সুমন খান ও সালাহউদ্দিন শাকিলের তোপে মাত্র ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর বিভাগও। সুমন ৫টি ও শাকিল ৩টি উইকেট পান। রংপুরের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন আরিফুল। এছাড়া রবিউল হক অপরাজিত ১৬ ও নাসির হোসেন ১৪ রান করেন। এ তিন ব্যাটারই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ৮৮ রান করে দিন শেষ করেছে ঢাকা। মাহিদুল ইসলাম অংকন ৫৪ ও আব্দুল মজিদ ৩৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
সাভারের বিকেএসপিতে দ্বিতীয় অপর স্তরের ম্যাচে খুলনা বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর মধ্যকার ম্যাচে ২৩ উইকেটের পতন হয়েছে প্রথম দিনে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ৬৪ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। একেএস স্বাধীন ৪টি উইকেট নেন। এছাড়া শরিফুল্লাহ, রকিবুল হাসান ও কাজী অনিক ২টি করে উইকেট নেন। কেবল ব্যাটার দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেন। জিয়াউর রহমান অপরাজিত ১৭ ও রবিউল ইসলাম রবি ১৫ রান করেন।
আর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শেখ মেহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে ১১৮ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা মেট্রো। একাই পাঁচটি উইকেট নেন শেখ মেহেদী। ২টি করে উইকেট পান আশিকুর জামান ও জিয়াউর রহমান। ঢাকা মেট্রোর পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। এছাড়া শরিফুল্লাহ ২৮ ও কাজী অনিক ২০ রান করেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও স্বস্তিতে নেই খুলনার। ৮ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে তারা। আবু হায়দার রনি ২টি উইকেট নেন। টিপু সুলতান ০ ও ইমরান উজ জামান ২ রানে ব্যাটিংয়ে রয়েছেন।
Comments