জাতীয় লিগে সেই বোলারদের দাপট
জাতীয় ক্রিকেট লিগে এবার শুরু থেকেই দাপট দেখাচ্ছে বোলাররা। পঞ্চম রাউন্ডে এসেও বদলায়নি পরিস্থিতি। সিলেটে তো প্রথম দিনেই গুটিয়ে গেছে দুই ইনিংস। বাকি তিন ম্যাচের চিত্রও প্রায় একই।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ১১৩ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা বিভাগ। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে মাত্র ৭৬ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরাও। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে ১ উইকেটে ১১৩ রান করে দিন শেষ করেছে ঢাকা।
মূলত এনামুল হক জুনিয়রের ফাইফারে প্রথম ইনিংসে লড়তে পারেনি ঢাকা। আবু জায়েদ রাহীও নেন ৩টি উইকেট। নাবিল সামাদের শিকার ২টি। ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে মাহিদুল ইসলাম অংকনের ব্যাট থেকে।
সিলেটের প্রথম ইনিংস অবশ্য গুটিয়ে দেন ঢাকার দুই পেসার সালাহউদ্দিন শাকিল ও সুমন খান। শাকিল তুলে নেন ফাইফার। সুমনের শিকার ৪টি। সিলেটের আল-আমিন করেছেন সর্বোচ্চ ২০ রান।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা ভালো ব্যাট করেছে ঢাকা। শুরুতে মাহিদুলকে হারালেও জয়রাজ শেখের ৫৯ ও আব্দুল মজিদের ৪৯ রানে ব্যাটে লড়াই করছে দলটি।
প্রথম স্তরের অপর ম্যাচে সাভারের বিকেএসপিতে মাত্র ১০০ রানে গুটিয়ে গেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। রবিউল হকের তোপে গুটিয়ে যায় দলটি। একাই পাঁচটি উইকেট পান তিনি। ২টি করে শিকার করেন আরিফুল হক ও আবদুল্লাহ আল মামুনের। চট্টগ্রামের পারভেজ ইমন ৩৩ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২২ রান করেন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদুল হাসানের উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান করেছে রংপুর। আবদুল্লাহ আল মামুন ৩৮ ও তানবির হায়দার ৯ রানে ব্যাট করছেন।
কক্সবাজারে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ২৫২ রানে অলআউট হয়েছে রাজশাহী বিভাগ। তানজিদ হাসান খেলেন ১০১ রানের ইনিংস। এছাড়া জহুরুল ইসলাম ৪৫, মুশফিকুর রহিম ৪৩ ও সানজামুল ইসলাম ৪০ রান করেন। ঢাকা মেট্রোর হয়ে রকিবুল ইসলাম ৪টি উইকেট পান। এছাড়া ৩টি করে উইকেট নেন আবু হায়দার ও শরিফুল্লাহ।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ১০ রান করেছে মেট্রো। মোহাম্মদ নাঈম ১০ ও রাকিন আহমেদ ০ রানে ব্যাট করছেন।
রাজশাহীতে বরিশালের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৬৪ রান করেছে খুলনা। দলের প্রায় সব ব্যাটারই কম বেশি রান করেন। সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে হাসানুজ্জামানের ব্যাট থেকে। এছাড়া নাহিদুল ইসলাম ৪১, জাওয়াদ রোয়েন ৪০, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ৪০ ও ইমরুল কায়েস ৩০ রান করেন। বরিশালের পক্ষে কামরুল ইসলাম রাব্বি ও সোহাগ গাজী ৩টি করে উইকেট নেন।
Comments