ভারতে সান্ত্বনার জয় বাংলাদেশের

ছবি: বিসিবি

সিরিজ হার নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। ছিল হোয়াইটওয়াশের শঙ্কাও। তবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ জিতে তা এড়াতে পেরেছে বিসিবি একাদশ। অবশেষে রানের দেখা পেলেন এনামুল হক বিজয়। জ্বলে উঠলেন তৌহিদ হৃদয়ও। বল হাতেও স্বল্প পুঁজি দারুণভাবে রক্ষা করলেন তাইজুল ইসলাম, সাইফ হাসানরা। ফলে জয় নিয়ে ১-২ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশের দলটি।

বৃহস্পতিবার এম এ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে তামিলনাড়ু একাদশকে ১৯ রানে হারিয়েছে বিসিবি একাদশ। আগে ব্যাট করে তৌহিদ হৃদয়ের ৬৬ ও বিজয়ের ৪২ রানে ভর করে অলআউট হওয়ার আগে ২২০ রানের পুঁজি পায় টাইগাররা। জবাবে নাঈম ইসলামের অতিমানবীয় নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও সাইফ-তাইজুল-খালেদের জোড়া উইকেট শিকারে ২০১ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সফল হয়নি তামিল নাড়ুর ওপেনিং জুটি। পাওয়ারপ্লেতেই আঘাত হানেন নাঈম। মাত্র নয় রান করে ফিরে যান মোকিত হরিহরণ। মিডল অর্ডারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তবু ম্যাচ নিয়ন্ত্রণেই ছিল স্বাগতিকদের। তৃতীয় উইকেটে ১০১ রান যোগ করেন প্রদোষ রঞ্জন পল (৭০) ও ড্যারি ফেরারিও (৪০)। এই জুটি ভাঙেন মুমিনুল। এরপর আর খেলায় ফিরতে পারেনি তামিল নাড়ু। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২০১ রানে থামে তারা।   

খালেদ ছাড়া বল হাতে বাকি সবাই ছিলেন বেশ কম খরুচে। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২৪ রান দেন নাঈম। সঙ্গে নেন এক উইকেট। পুরো কোটা বোলিং করে ৩৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তাইজুল। সাইফ হাসানও পান দুই উইকেট।

এর আগে ব্যাট হাতে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত এক রানে রানআউটের কবলে পড়েন সাদমান ইসলাম। সাইফও ফিরে যান দ্রুত। তৃতীয় উইকেটে সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন বিজয়। ২২ বলে ১৬ রান করে মুমিনুল মোহান প্রাসাথের শিকার হলে ভাঙে এই জুটি।

এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন ক্রিজে আসেন এনামুলকে সঙ্গ দিতে। অবিচ্ছিন্ন থেকে স্কোরবোর্ডে ৩০ রান যোগ করেন তারা। তাদের ব্যাটে ভালই এগিয়ে চলছিল দলীয় সংগ্রহ, কিন্তু ব্যক্তিগত ৪২ রানে ত্রিলোক নাগের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান বিজয়। ফিফটির কাছাকাছি গিয়েও হতাশায় পুড়তে হয় এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে।

এনামুলের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি মিথুনও। ৩৩ বলে ২৩ রান করে তিনি ফিরলে বিসিবি একাদশ হারায় পঞ্চম উইকেট। স্কোরবোর্ডে তখন ৯৮ রান। জাকের আলি অনিকও দ্রুত বিদায় নেন। তবে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন ফর্মে থাকা তৌহিদ। দুই চার দুই ছয়ে করেন ৭৪ বলে ৬৬ রান। শেষদিকে তাইজুল-নাঈমের ছোট কিন্তু কার্যকর দুটি ইনিংসে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা পায় ২২০ রানের সংগ্রহ।  

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

7h ago