ইয়াসিরের ব্যাটে রান, ইবাদতের ৫ উইকেট

রোববার বিকেএসপির মাঠে বিএসএলের ওয়ানডে আসরের ম্যাচে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের মধ্যঞ্চলকে ১১৪ রানে হারিয়েছে মুশফিকুর রহিমের ইসলামি ব্যাংক পূর্বাঞ্চল।
Yasir Ali Chowdhury
ফাইল ছবি: স্টার

শুরুতেই রবিউল হকের তোপে পড়লেন তামিম ইকবালরা। পরে বাঁহাতি স্পিনে তাদের চেপে ধরলেন তাইজুল ইসলাম। সেই চাপ সয়ে দারুণ ঝলমলে ইনিংসে দলকে আড়াইশ ছাড়ানো পুঁজি এনে দেন ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি। জুতসই পুঁজি নিয়ে দারুণ বোলিংয়ে দলকে জিতিয়েছেন ইবাদত হোসেন ও শেখ মেহেদী হাসান।

রোববার বিকেএসপির মাঠে বিএসএলের ওয়ানডে আসরের ম্যাচে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের মধ্যঞ্চলকে ১১৪ রানে হারিয়েছে মুশফিকুর রহিমের ইসলামি ব্যাংক পূর্বাঞ্চল।

আগে ব্যাট করে ২৫৪ রান করে পূর্বাঞ্চল। যাতে ৭৩ বলে ৮০ রান করে অবদান ইয়াসিরের। রান তাড়ায় ভালো শুরুর পর খেই হারানো মধ্যাঞ্চল আটকে যায়  মাত্র ১৪০ রানে।

দারুণ বোলিংয়ে দলকে জেতাতে ৩৬ রানে ৫ উইকেট নেন ইবাদত। ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন আরেক পেসার রেজাউর রহমান রাজা। অফ স্পিনে শেখ মেহেদী ১৮ রানে পান ৩ উইকেট।

২৫৫ রানের লক্ষ্য দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও আব্দুল মজিদ শুরুটা পেয়েছিলেন ভালো। থিতু থাকা সৌম্য (২৩ বলে ১৯) দলের ৪৭ রানে ফ্লিকের মতো শট খেলে শেখ মেহেদী বলে দেন ক্যাচ। মজিদকেও মনে হচ্ছিল সাবলীল। কিন্তু রাজার অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করেন তিনিও ধরা দেন উইকেটের পেছনে।

এরপর লড়েছেন কেবল নাজমুল হোসেন শান্ত। বাকিরা ছিলেন আসা যাওয়ার মাঝে। মুমিনুল হক কোন রান না করেই বোল্ড হন শেখ মেহেদীর বলে। ২ রান করে একই পরিণতি মোহাম্মদ মিঠুনের। বিপদে থাকা দলকে ভরসা দিতে পারেননি মোসাদ্দেক।

তাকে বোল্ড করে  উইকেট নেওয়া শুরু ইবাদতের। খানিক পর তিনি আউট করেন থিতু থাকা শান্তকে (৫৩ বলে ৩৮)। নাহিদুল ইসলাম্ম তাইজুল ইসলামদের ছেঁটে ইবাদত পরে তুলেন ৫ উইকেট। রবিউল, সুমন খানদের উপড়ে ইনিংস মুড়ে দেন রাজা।

সকালে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন তামিমরা।  মাহমুদুল হাসান জয় রবিউলের শিকার হন ১ রান করে। তামিম রবিউলের বলে বারবার পরাস্ত হয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। ২৯ বল খেলে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক ১৮ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।

৮ বলে ৪ রান করা ইমরুল কায়েসকে আউট করেন সুমন। আফিফ হোসেন ধ্রুবও থিতু হয়ে বাড়তে পারেননি (২৮ বলে ২৭)। নাহিদের অফ স্পিনে স্টাম্প যায় তার।

অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম প্রতিরোধ গড়ে দলকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন। ফিফটি থেকে ৬ রান দূরে তিনি বোল্ড হন তাইজুলের স্পিনে। এরপর বাকিটা সময় রান বাড়ানোয় দায় পুরো নিজের কাঁধে নেন ইয়াসির। ৭৩ বলের ইনিংসে ৪ চারের সঙ্গে ৫ ছক্কা মেরেছেন তিনি।  

Comments

The Daily Star  | English
books on Bangladesh Liberation War

The war that we need to know so much more about

Our Liberation War is something we are proud to talk about, read about, and reminisce about but have not done much research on.

17h ago