বিসিএলের ফাইনালের হিরো রাকিবুল

রান পাননি লিটন দাস। তবে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে লড়াই জমান ফজলে মাহমুদ রাব্বি। পরে আকবর আলি ও শামীম পাটোয়ারির ব্যাটে বিসিবি উত্তরাঞ্চল পেয়ে যায় আইড়াশোর কাছাকাছি পুঁজি। মন্থর উইকেটে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি নিয়ে বিধ্বংসী বোলিং করে নায়ক বনেছেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান।
রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)'র ফাইনাল হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলকে ৩ রানে হারিয়ে তাতে জিতেছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল।
আগে ব্যাট করে ২৪৪ রান জড়ো করেছিল উত্তর। জবাবে এনামুল হক বিজয় ও নাসির হোসেনের ফিফটির পরও দক্ষিণাঞ্চল থেমে যায় ২৪১ রানে। ১০ ওভার বল করে মাত্র ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে উত্তরের নায়ক রাকিবুল।
রান তাড়ায় গিয়ে ৬ষ্ঠ ওভারে ছন্দে থাকা নাঈম শেখের উইকেট হারায় দক্ষিণাঞ্চল। ১১ রান করা নাঈম মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের সরাসরি থ্রোতে হন রানআউট।

এরপর দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ জুটি পেয়ে যায় দক্ষিণ। জাকির হাসানকে নিয়ে দলকে জেতার রাস্তায় নিচ্ছিলেন বিজয়। দুজনের ঠিক ১০০ রানের জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৯ বলে ৪২ করা জাকিরকে রান আউট করেন তিনি।
মিডল ওভারে পরে হানা দিতে থাকেন রাকিবুল। ফিফটি করা বিজয় (৪৮ বলে ৫৯) কাটা পড়েন রাকিবুলের বলে। তৌহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজকেও কোন রান করার আগেই ফিরিয়ে দেন তিনি। রিপন মণ্ডল তুলে নেন নাঈম ইসলামকে।
পরে নাসির হোসেনের সঙ্গে বিপদজনক জুটিতে সঙ্গ দেওয়া নাসুম আহমেদকেও (৭০ বলে ৩৮) আউট করেন রাকিবুল।
নাসির একাই লড়ছিলেন। শেষ ৩ ওভারে ২২ ও শেষ ২ ওভারে ম্যাচ জিততে দরকার ছিল ১৬ রানের। কিন্তু কাজটা শেষ করতে পারেননি তিনি। শামীম পাটোয়ারির থ্রোতে রান আউট হওয়ার আগে ৮৯ বলে ৬১ করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।
দুপুরে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে উত্তরাঞ্চল। শরিফুল ইসলামের জোড়া আঘাতে ফিরে যান শাহাদাত হোসেন দিপু ও লিটন। তিনে নেমে সৈকত আলি কিছুটা ঝলক দেখালেও তিনিও থিতু হয়ে থামান দৌড়।
এরপর দলকে খেলায় ফেরান ফজলে রাব্বি ও মাহমুদউল্লাহ। তৃতীয় উইকেটে দুজনে আনেন ৭৮ রানের জুটি। থিতু থাকা মাহমুদউল্লাহ নাসির হোসেনের বলে ৩৯ করে বোল্ড হলে ভাঙে এই জুটি। পরে আকবরকে নিয়ে এগুতে থাকেন রাব্বি। এই বাঁহাতিকে থামান মিরাজ। ১১৪ বলে ৬৫ করা রাব্বি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।
কিপার ব্যাটার আকবর ও শামীম মিলে পরে মিটিয়েছেন রানের চাপ। ফিফটি না পেলেও আকবরের ৪১ বলে ৪৪ রানের ইনিংস দলকে দেয় লড়াইয়ের ভিত। শেষ দিকে ২০ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে দলকে চ্যালেঞ্জিং জায়গায় নিয়ে যান শামীম।
Comments