মোস্তাফিজকে ম্যাচ জেতার বিশ্বাস রাখতে বলেছিলেন মিরাজ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সাদামাটা লক্ষ্য তাড়ায় মাঝপথে খেই হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে গেল বাংলাদেশ। সেখান থেকে প্রত্যাবর্তনের অসামান্য গল্প লিখলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার স্মরণীয় ব্যাটিংয়ে ভারতের বিপক্ষে নাটকীয় জয় পেল টাইগাররা। পরে বললেন, ভীষণ চাপের মাঝেও দশম উইকেটের সঙ্গী মোস্তাফিজুর রহমানকে ম্যাচ জেতার বিশ্বাস রাখার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর প্রথম ওয়ানডেতে ১ উইকেটে ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করে সাকিব আল হাসান ও ইবাদত হোসেনের বোলিং তোপে সফরকারীরা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৮৬ রানে। জবাব দিতে নেমে এক পর্যায়ে, স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১২৮ রান। এরপর ঘটে বিশাল ছন্দপতন। মোটে ৮ রানে মধ্যে ৫ উইকেট খুইয়ে হারের চোখ রাঙানি দেখতে থাকে বাংলাদেশ।

সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে বীরত্বের পরিচয় দেন মিরাজ। ৩৯ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। শেষ উইকেটে মোস্তাফিজের সঙ্গে মিরাজ গড়েন ৪১ বলে ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। মোস্তাফিজ অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ১০ রানে।

ভারতের মুঠো থেকে জয় ছিনিয়ে আনা মিরাজ অনুমিতভাবে জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজের প্রতিক্রিয়া তিনি জানান এভাবে, 'এটা আমার জন্য দারুণ একটি সুযোগ ছিল। আমি খুবই খুশি। আমি খুব উত্তেজিতও।'

৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর জয়ের পথ হয়ে পড়েছিল ভীষণ কঠিন। তবে মোস্তাফিজকে সাহস দিয়েছিলেন মিরাজ, 'মোস্তাফিজকে আমি যা বলেছিলাম তা হলো, "আমি কিছু জায়গা নির্দিষ্ট করে খেলব এবং তোমাকে বিশ্বাস রাখতে হবে। যদি তুমি এটা বিশ্বাস করো, তাহলে আমরা ম্যাচটা জিততে পারব।" আমি তাকে বলেছিলাম শান্ত থাকতে ও ২০টি বল খেলতে এবং অন্যদিকে, আমি চেষ্টা করব কী ঘটে দেখার।'

ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ষষ্ঠ জয়ের নায়ক মিরাজের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে এমন ব্যক্তিগত নৈপুণ্য, 'আমি খুবই খুবই খুশি। ভারত হলো বড় ও শক্তিশালী দলগুলোর একটা। এটা আমার জন্য একটি স্মরণীয় পারফরম্যান্স।'

Comments

The Daily Star  | English

Can Bangladesh ride out the wave of US tariffs?

Trump's announcement sent businesses scrambling. Orders froze. Buyers demanded discounts. Stock markets plummeted.

11h ago