লিটনের পর সাকিবও কলকাতায়

লিটন দাসের পর সাকিব আল হাসানও দল পেলেন আইপিএলে। তারও ভাগ্য খুলল দ্বিতীয় দফার ডাকে। ডানহাতি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটনের পাশাপাশি বাংলাদেশের শীর্ষ অলরাউন্ডারকেও নিজেদের ডেরায় ভেড়াল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
শুক্রবার ভারতের কোচিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসর আইপিএলের সংক্ষিপ্ত পরিসরের নিলাম। সেখানে ভিত্তিমূল্য ১ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে সাকিবকে ফের দলে টেনেছে কলকাতা। আগেও দুই দফা এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে খেলেছেন তিনি। এর আগে ভিত্তিমূল্য ৫০ লাখ রুপিতে লিটনকেও স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা। অর্থাৎ দুই তারকা টাইগার ক্রিকেটার থাকছেন একই দলে।
এবারই প্রথম আইপিএলের কোনো আসরে খেলবেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার। লিটন ও সাকিব ছাড়া আরেকজন হলেন মোস্তাফিজুর রহমান। গত বছর দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলা এই বাঁহাতি পেসারকে এবারও ধরে রেখেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
এবার আইপিএলের সীমিত পরিসরের নিলামে নিজের ভিত্তিমূল্য ৫০ লাখ কমিয়ে দেড় কোটি করে দিয়েছিলেন সাকিব। তবে মূল্য কমালেও প্রথম দফায় তার প্রতি আগ্রহী হয়নি অংশগ্রহণকারী ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজির কেউই। দ্বিতীয় দফায় আগ্রহ দেখিয়ে তাকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেছে কলকাতা। আইপিএলের গেল আসরের দুইদিনব্যাপী মেগা নিলামে অবশ্য সাকিবকে নেয়নি কোনো দল। এর আগের বছর তিনি খেলেছিলেন কলকাতাতেই।
২০০৯ সালে আইপিএলের জন্য প্রথমবার নাম পাঠিয়েছিলেন সাকিব। তবে সেবার তাকে কেউ দলে নেয়নি। ২০১০ সালেও তিনি ছিলেন অবিক্রিত। ২০১১ সালে প্রথমবার কলকাতায় জায়গা পান সাকিব। এরপর ২০১৪ সালে আবার তাকে ধরে রাখে দলটি। তাদের হয়ে ছয় মৌসুম খেলার পর ২০১৮ সালে সাকিবকে দলে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দলটির হয়ে এই বাঁহাতি ক্রিকেটার খেলেছেন দুই মৌসুম।
এরপর ২০২১ সালের আসরে সাকিবকে দলে ফিরিয়েছিল কলকাতা। তবে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। ব্যাটে-বলে আলো ছড়াতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে একাদশে তার সুযোগ মেলেনি নিয়মিত। আট ম্যাচে তিনি ব্যাট হাতে করেছিলেন মোটে ৪৭ রান। আর বল হাতে নিয়েছিলেন কেবল ৪ উইকেট।
২০১১ সাল থেকে আইপিএলে নিয়মিত হলেও ২০১৩ সালের আসরে সাকিব খেলতে পারেননি চোটের কারণে। আর ২০২০ সালে তার খেলা হয়নি আইসিসির দেওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে। এক মৌসুম পর ৩৫ পেরুনো সাকিব আবার ফিরছেন আইপিএলে।
আইপিএলের এবারের নিলামের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম ছিল বাংলাদেশের চার ক্রিকেটারের। দ্বিতীয় ডাকে সাকিব ও লিটন দল পেলেও পেসার তাসকিন আহমেদ একবার নিলামে উঠে অবিক্রিত থেকে যান। তবে তালিকায় নাম থাকলেও নিলামে তোলা হয়নি অলরাউন্ডার আফিফ হোসেনকে।
Comments