আবারও ব্যর্থ জয়, জাকের-শরিফুল্লাহর ব্যাটে লড়ছে মধ্যাঞ্চল

সাইফ হাসান ছাড়া রানের দেখা পেলেন না উত্তরাঞ্চলের আর কোনো ব্যাটারই। জাতীয় দলের বাইরে থাকা মাহমুদুল হাসান জয় ফিরে গেলেন রানের খাতা খোলার আগেই। বাকিদের ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে দুইশ রানও করতে পারল না বিসিবি উত্তরাঞ্চল। জবাবে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও জাকের আলি অনিক ও মোহাম্মদ শরিফুল্লাহর ব্যাটে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় আছে বিসিবি মধ্যাঞ্চল।
সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে প্রথম দিনেই পড়েছে ১৫ উইকেট। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬৯ রানে গুটিয়ে গেছে উত্তরাঞ্চল। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৩ রান এসেছে চারে নামা সাইফের ব্যাট থেকে। নিজেকেসহ মোট আট জন বোলার ব্যবহার করেন মধ্যাঞ্চলের অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরী। ৩ উইকেট করে শিকার করেন মুশফিক হাসান ও আবু হায়দার রনি।
প্রতিপক্ষকে অল্প রানে বেঁধে ফেলার পর মাত্র ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বিসিবি মধ্যাঞ্চল। অবিচ্ছিন্ন ৬৪ রানের জুটি গড়ে খাদের কিনারা থেকে দলকে উদ্ধারের লড়াইয়ে আছেন উইকেটরক্ষক জাকের (৩৭*) ও শরিফুল্লাহ (৩৫*)। দিনশেষে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান। জোড়া উইকেট নেন নাইম আহমেদ। ৪১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করবে মধ্যাঞ্চল।
ব্যাটাররা বড় পুঁজি দিতে না পারলেও ঠিকই জ্বলে ওঠেন উত্তরাঞ্চলের বোলাররা। দ্বিতীয় ওভারেই আব্দুল মজিদকে ফেরান নাহিদ রানা। খানিক বাদে ফিরে যান আবদুল্লাহ আল মামুনও। তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন নাইম। ১৩তম ওভারে আবারও আঘাত হানেন এই স্পিনার। এবার তার শিকার বনে যান সালমান হোসেন ইমন।
সৌম্য সরকারও পারেননি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে। সালাউদ্দিন শাকিলের শিকার হওয়ার আগে মাত্র ১৯ রান করতে সক্ষম হন এই বাঁহাতি। কিছুক্ষণ পর শুভাগতকেও সোহরাওয়ার্দি শুভ ফেরালে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা ভর করে মধ্যাঞ্চলের ওপরও। এরপরই জুটি গড়ে সেই বিপদ থেকে দলকে উদ্ধার করেন জাকের ও শরিফুল্লাহ।
এর আগে ইনিংসের মাত্র চতুর্থ বলেই মুশফিকের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফিরে যান জয়। পরের ওভারে উইকেট শিকারে নামেন রনিও। তৌফিক খান তুষারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন তিনি। পঞ্চম ওভারে হাতে চোট পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তানজিদ হাসান তামিম।
দলীয় ৩৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় উত্তরাঞ্চল। নাইম ইসলামকে বোল্ড করে ফেরান রনি। এরপর নাসির হোসেন কিছুটা সঙ্গ দেন সাইফকে। দুজন মিলে গড়েন ২৪ রানের জুটি। ১২ রান করে সৌম্যকে উইকেট দিয়ে ফেরেন নাসির। ১০ রান করে অধিনায়ক আকবরও ফিরে যান দ্রুত।
মাত্র ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা উত্তরাঞ্চলের হয়ে এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সাইফ-শুভ জুটি। ১০৫ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে ৩৮তম ওভারে মুশফিকের শিকার হন সাইফ। এরপর ফের ব্যাটিংয়ে নামেন তামিম।
সাইফ বিদায় নেওয়ার পরের ওভারে ফিরে যান শুভও। তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। দলীয় ১৬৮ রানে ২৭ রান করে তামিম ফিরে গেলে অষ্টম উইকেটের পতন ঘটে উত্তরাঞ্চলের। এরপর নাঈম ও নাহিদকে দ্রুত বিদায় করে আকবরের দলের লেজ গুটিয়ে দেন শুভাগত ও শরিফুল্লাহ। ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন সালাউদ্দিন শাকিল।
Comments