উইলিয়ামসনের রেকর্ডময় ডাবল সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের দাপট

৯ উইকেট পড়ে গেছে, দলের রান ছাড়িয়েছে ছয়শো। ইনিংস ঘোষণা করতে নিউজিল্যান্ডের তবু অপেক্ষা ছিল কেইন উইলিয়ামসনের জন্য। পঞ্চম ডাবল সেঞ্চুরি পুরো করতে সাবেক কিউই কাপ্তান অবশ্য সময় বেশি নিলেন না। আবরার আহমেনদকে ইনসাইড আউটে চার মারার পর সিঙ্গেল দিয়েই দু হাত উঁচিয়ে ধরলেন। পাকিস্তানের উপর বড় রানের বোঝা চাপিয়ে তখনই ইনিংস ছেড়ে দেয় সফরকারীরা।
উইলিয়ামসনের ঝলকের দিনে করাচি টেস্টে দাপট নিউজিল্যান্ডের। বৃহস্পতিবার ৯ উইকেটে ৬১২ রান করে ১৭৪ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ছেড়ে দেয় তারা। চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান তুলেছে পাকিস্তান।
বাবর আজম আর আগা সালমানের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রানের বড় পুঁজিই গড়েছিল পাকিস্তান। তাদের পুঁজিকে ম্লান করে দিতে প্রথমে সেঞ্চুরিতে আলো ছড়ান টম ল্যাথাম। পরে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে সব আলো নিজের দিকে নিয়ে নেন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে টেস্টে এর আগে চারটি ডাবল সেঞ্চুরি ছিল ব্র্যান্ডন ম্যাককালামের।
৬ উইকেটে ৪৪০ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন উইলিয়ামসন। ইশ সোধিকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে গড়েন দারুণ জুটি। লেগ স্পিনার সোধি দেখান দৃঢ়তা, উইলিয়ামসন বাড়াতে থাকেন রান। সপ্তম উইকেট জুটিতে তারা আনেন ১৫৪ রান। আবরারের লেগ স্পিনে আউট হওয়ার আগে ১৮০ বলে ৬৫ করেন সোধি। এরপর দ্রুত আরও দুই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
৫৯৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ডাবল সেঞ্চুরির কিনারে থাকা উইলিয়ামসন নিজের মাইলফলক নিয়ে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিলেন। এগারো নম্বর ব্যাটার এজাজ প্যাটেল অবশ্য তাকে দেন ভরসা। ৮ বল ঠেকিয়ে দেন তিনি।
১৭৪ রানে পিছিয়ে খেলতে নেমে ভালো শুরু পায় পাকিস্তান। দুই ওপেনার পার করে দেন ১৯ ওভার। থিতু হয়ে পড়া আব্দুল্লাহ শফিককে দলের ৪৭ রানে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন মিচেল ব্রেসওয়েল। তিনে নামা শান মাসুদ টিকতে পারেননি শেষ বিকেলে। সোধির লেগ স্পিনে এলবিডব্লিউতে বিদায় হয় তার। ৪৫ রানে থাকা ইমাম-উল হক নাইট ওয়াচম্যান নোমান আলি (৪*) কে নিয়ে দিনটা পরে শেষ করেন নিরাপদে।
Comments