টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন লিটন
নিজের ও বাংলাদেশের সেরা অবস্থানে আগেই ছিলেন লিটন দাস। ভারতের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের পর আর কোনো ম্যাচ না খেললেও নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি। ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদার সংস্করণের ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে আরও এক ধাপ এগোলেন এই ডানহাতি তারকা ব্যাটার।
বৃহস্পতিবার ক্রিকেটারদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে খেলাটির সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ব্যাটারদের তালিকায় লিটন আছেন ১১ নম্বরে। আগের র্যাঙ্কিংয়ে তিনি ছিলেন ১২তম স্থানে। অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাওয়াজার অবনতির কারণে এগিয়েছেন লিটন। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে র্যাঙ্কিংয়ে এত উপরে উঠতে পারেননি আর কোনো ব্যাটার। তার রেটিং পয়েন্ট ৭০২।
গত বছরের মার্চে প্রথমবার দ্বাদশ স্থানে উঠেছিলেন লিটন। সেই অবস্থান অবশ্য ধরে রাখতে পারেননি তিনি। পরে তার অবনতি হয় র্যাঙ্কিংয়ে। তবে গত ডিসেম্বরে নিজেদের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের পর ফের ১২ নম্বর স্থান দখল করেন তিনি। সেটা ছাপিয়ে তার আরও এক ধাপ উন্নতি হয়েছে এবার। লিটন প্রথমবার দ্বাদশ স্থানে ওঠার আগে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সেরা অবস্থান ছিল তামিম ইকবালের। এই বাঁহাতি তারকা ওপেনার ১৪তম স্থান দখল করেছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত মাসে ঘরের মাঠে মেলবোর্ন টেস্টে হাসেনি খাওয়াজার ব্যাট। এই অজি ব্যাটার পিছিয়েছেন দুই ধাপ। তিনি নেমে গেছেন ১২ নম্বরে। এক ধাপ এগিয়ে দশম স্থানে উঠেছেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার ড্যারিল মিচেল। এরপরই অবস্থান বাংলাদেশের লিটন।
ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে সদ্যসমাপ্ত ২০২২ সালে ধারাবাহিকতার ছাপ রাখেন লিটন। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৪২ ম্যাচ খেলে ৪০.০২ গড়ে রেকর্ড ১৯২১ রান করেন তিনি। ১৩ ফিফটি আর তিন সেঞ্চুরি আসে তার ব্যাট থেকে। এক পঞ্জিকাবর্ষে রান করায় এটাই কোনো টাইগার ব্যাটারের রেকর্ড। গত বছর বাংলাদেশের আর কেউ এক হাজার রানও করতে পারেননি।
আলাদা করে তিন সংস্করণের সবগুলোতেও লিটনই সবার উপরে ছিলেন। টেস্টেই করেন বছরের বেশিরভাগ রান। ১০ ম্যাচে ৪৪.৪৪ গড়ে ৮০০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। পাঁচ ফিফটি আর দুই সেঞ্চুরি তিনি হাঁকান সাদা পোশাকে।
টেস্ট ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার মারনাস লাবুশেন। তার রেটিং পয়েন্ট ৯২৫। লাবুশেনের স্বদেশি স্টিভেন স্মিথ এক ধাপ এগিয়ে উঠেছেন দুইয়ে। তিনে নেমে গেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। দুজনের মধ্যে রেটিং পয়েন্টের ব্যবধান মাত্র এক। স্মিথের ৮৮৩, বাবরের ৮৮২।
Comments