‘হলে তো প্রেসিডেন্ট হওয়াই ভালো’
বিপিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব পেলে নায়কের মতো একদিনে সব অনিয়ম দূর করে দেবেন। কদিন আগে এমনটা বলে তুমুল আলোচনা তৈরি করেন সাকিব আল হাসান। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে আগামী বছর থেকে সেই দায়িত্ব নেওয়ার আহবান জানান বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিল চেয়ারম্যান শেখ সোহেল। সত্যিই এমন দায়িত্ব পেলে নিবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে এবার সাকিব মজা করে বললেন, 'হলে তো প্রেসিডেন্ট হওয়াই ভালো।'
নানান অব্যবস্থাপনায় চলতে থাকা বিপিএল নবম আসরে এসে উল্টো রঙ হারিয়ে বিবর্ণ। টুর্নামেন্টের অনেক কিছু নিয়েই হতাশা আছে ক্রিকেটারদের। গেল ৪ জানুয়ারি সেই হতাশা সাকিব ঝাড়েন স্পষ্ট ভাষায়। আয়োজনের ত্রুটি নিয়ে মন্তব্য করেন 'অবস্থা যা-তা'। সেখানেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি দায়িত্বে থাকলে কি করতেন? সাকিবের জবাব ছিল এমন, 'আমাকে যদি সিইওর দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমার বেশি দিন লাগবে না। সব ঠিক করতে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই মাস লাগবে।'
রোববার রাতে আরেকটি পণ্যের দূত হওয়ার আয়োজনে উপস্থিত হয়ে এই তারকা সিইও হওয়ার প্রশ্নে জবাব দিলেন মজা করে, 'হলে তো প্রেসিডেন্ট হওয়াই ভালো (হাসি)।'
বিপিএলের পেশাদারিত্বের প্রসঙ্গে কড়া সমালোচনা করে সেদিন তুমুল আলোচনার সূত্রপাত করেন তিনি। তার মতে বিপিএল চলছে যা-তা অবস্থার মধ্য দিয়ে। বিসিবির সংগঠকদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছিলেন, বিপিএলের বিপণন ঠিক মতো করা হচ্ছে না, বাড়ানো যাচ্ছে না প্রসার।
চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড় হয়েও এমন সমালোচনায় শাস্তি পেতে হয়নি সাকিবকে। তবে তার কথা পাল্টা জবাব দিতে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন টুর্নামেন্টের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান শেখ সোহেল। সাকিবকে সিইওর দায়িত্ব নেওয়ারও আহবান করেন তিনি, 'আমি প্রথমে সাকিবকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানাই। সে যদি বিপিএলের সিইও হয়ে আসতে চায়, আমরা গভর্নিং বোর্ড থেকে তাকে স্বাগতম জানাই। সে যদি চায়, সামনের বছর থেকেই সিইওর দায়িত্বটা পালন করুক।'
সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, 'বিপিএল থেকে ডিপিএল অনেক ভালো বললেও সাকিব কিন্তু ডিপিএল খুব একটা খেলে না, বিপিএলই নিয়মিত খেলে।'
Comments