নাসিমের তোপের পর ফখর-বাবর-রিজওয়ানের ব্যাটে জিতল পাকিস্তান
নাসিম শাহর তোপে নিউজিল্যান্ডের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। মাঝারি কয়েকটি ইনিংসে ভর করে তাদের আড়াইশ ছাড়ানো পুঁজি যে একদম যথেষ্ট নয় তা বুঝিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। ফখর জামান, বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে অনায়াসে জয় তুলেছে পাকিস্তান।
সোমবার করাচিতে প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। ৯ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের করা ২৫৫ রান পাকিস্তান টপকে যায় ১১ বল আগে। ৫৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের জেতার রাস্তা করে দেন ডানহাতি পেসার নাসিম। ফখরের ৫৬ , বাবরের ৬৬ রানের পর রিজওয়ান অপরাজিত ৭৭ রান করে শেষ করে ফেলেন কাজ।
লক্ষ্যটা খুব একটা চ্যালেঞ্জিং না হলেও শুরুতেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। দলীয় ৩০ রানে মাইকেল ব্রেসওয়েল ফেরান ইমাম-উল-হককে। ১১ রান আসে বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে। এরপর ফখরকে নিয়ে ৭৮ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক বাবর। খেলা করে দেন সহজ।
তবে ফিফটি করার পরপরই ৫৬ রান করে ব্রেসওয়েলের বলে বোল্ড হয়ে যান ফখর। তবে তার বেঁধে দেওয়া সুর ধরে দলকে এগিয়ে নিতে বাবরের সঙ্গে যোগ দেন রিজওয়ান। কিপার ব্যাটারের সঙ্গে অধিনায়কের ৬০ রানের আরও একটি কার্যকর জুটি গড়ে উঠে। শেষ পর্যন্ত ৮২ বলে পাচ চার এক ছক্কায় ৬৬ রান করে পাক অধিনায়ক ফেরেন গ্লেন ফিলিপসের বলে।
বাবর ফিরলেও রিজওয়ানের সাবলীল ব্যাটে ছুটতে থাকে পাকিস্তান। হারিস সোহেলকে নিয়ে যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ ৬৪ রান। ২৩ বলে ৩২ রান করা হারিসকে ফেরান টিম সাউদি। তবে ততক্ষণে জয় নাগালে এসে পড়েছে স্বাগতিকদের।
অবশিষ্ট পথটুকু নিরাপদেই পাড়ি দেয় বাবরের দল, নট আউট থেকে দলকে লক্ষ্য পার করেই মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান। কাজ সারতে তার সঙ্গে যোগ দিয়ে ১০ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন সালমান। ব্রেসওয়েল দুই, সাউদি ও ফিলিপস নেন একটি করে উইকেট। তারা কেউই চাপ তৈরি করে লড়াই জমাতে পারেননি।
টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে দলের এক রানেই ডেভন কনওয়ের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারেই তাকে বোল্ড করে দেন নাসিম। ফিন অ্যালেনকে নিয়ে চেষ্টা চালিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু ২৭ বলে ৬ চারে ২৯ রান করে ফিরে যান অ্যালেন। আঘা সালমানের ক্যাচ বানিয়ে তাকে বিদায় করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।
১৫তম ওভারে ৩৯ বলে ২৬ রান করে ফিরে যান উইলিয়ামসনও। উসামা মির সরাসরি বোল্ড করে দেন তাকে। মাত্র ৬৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা কিউইরা এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালায় ড্যারেল মিচেল ও টম লাথামের ব্যাটে।
৭৫ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ২৭তম ওভারে ৫৫ বলে ৩৬ রান করে মোহাম্মদ নাওয়াজের শিকার হয়ে ফিরে যান মিচেল। সঙ্গীর বিদায়ের পর লাথামও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ, উসামার বলে ফখরের হাতে ক্যাচ দিলে ইতি ঘটে ৫২ বলের ৪২ রানের ইনিংসের।
এরপর ফিলিপস-ব্রেসওয়েল মিলে গড়েন আরও একটি পঞ্চাশ পেরোনো জুটি। তাদের ৬৬ রানের জুটি ভাঙে ৩৭ রান করে নাসিমকে উইকেট দিয়ে ফিলিপস ফিরে গেলে। ৪৩ রান করা ব্রেসওয়েলকেও ফেরান এই পেসার।
হেনরি শিপলি ফিরে যান দ্রুতই, সাউদিকে নিয়ে ৩১ রানের জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন মাইকেল স্যান্টনার। শেষ পর্যন্ত ২১ রান করে সেই নাসিমেরই শিকারে পরিণত হন কিউই অলরাউন্ডার। নট আউট থাকেন সাউদি ও ফার্গুসন। কিউইদের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের চার জন ত্রিশ স্পর্শ করলেও কেউই ফিফটি করতে পারেননি। তাদের পুঁজিও তাই যেতে পারেনি চ্যালেঞ্জিং জায়গায়।
Comments