ট্রিপল সেঞ্চুরি করে পৃথ্বী শ বললেন, 'এতে আদৌ কিছু যায় আসে?'

ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছিলেন পৃথ্বী শ। কিন্তু বড় স্কোর করতে পারছিলেন না। বুধবার রঞ্জি ট্রফিতে সে আক্ষেপটাও ঘুচল। আসামের বিপক্ষে তুলে নিলেন ট্রিপল সেঞ্চুরি। অথচ মাঝে অনেক সমালোচনাই শুনতে হয়েছে তাকে। তবে এ সকল সমালোচনাকে পাত্তা দেন না বলেই জানান ২৩ বছর বয়সী এ তরুণ।
আসামের বিপক্ষে আগের দিনই ২৮৩ বলে ২৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন পৃথ্বী। স্ট্রাইক রেট ছিল ৮৪.৮১। এদিন পার করলেন ত্রিশতক। শেষ পর্যন্ত ৩৮৩ বলে ঝুলিতে ৩৭৯ রান নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ২৩ বছর বয়সী এ ওপেনার। এ ইনিংস গড়ার পথে ৪৯টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। রঞ্জির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী এখন পৃথ্বী শ।
মাঠে ভালো-খারাপ যাই হোক সমালোচকরা তির ছোড়ার জন্য সবসময় তৈরি থাকেন বলে মনে করেন পৃথ্বী। তাই এসবে মনোযোগ দেন না বলেই জানান, 'রান করতে না পারলে লোকজন সমালোচনা করতে থাকে। এমন লোকজনকে পাত্তা না দেওয়াই ভালো। ওরা কি বলছে এতে আদৌ কিছু যায় আসে? আমি জানি, কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল। কঠিন সময়ে যারা পাশে দাঁড়াননি, আমার জীবনে তাদের কোনও স্থান নেই।'
সবমিলিয়ে নিজের ব্যাটিংয়ে দারুণ খুশি এ তরুণ, 'যেভাবে ব্যাট করছি তাতে আমি খুশি। শুধু বড় স্কোর গড়া মিস করছিলাম। সেটাও হয়ে গেল। যখন আপনি বড় স্কোর গড়ার জন্য ক্ষুধার্ত এবং নিজের কাজটা ঠিকভাবে করতে পারলে পরিশ্রমের ফল অবশ্যই পাবেন। গত কয়েকবছর ধরে আমি যা পরিশ্রম করেছি তারই ফল এই ইনিংস।'
'আমি খুব বেশি লোকজনের সঙ্গে কথা বলিনি। শুধু চোখ বন্ধ করে নিজের খেলাটাকে ভাবার চেষ্টা করতাম। নিজেরই ব্যাটিংয়ের পুরনো ফুটেজ দেখতাম। একা বসে কোন জায়গায় গলদ থেকে যাচ্ছে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতাম। আমি জানি যে সবসময় বড় রান তোলা সম্ভব নয়।'
ধারাবাহিক রান করে গেলেও বশ্য জাতীয় দলের বিবেচনায় নিয়মিত নন পৃথ্বী। অথচ মাত্র ১৮ বছর বয়সে জাতীয় দলে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। শচিন টেন্ডুলকারের যোগ্য উত্তরসূরীও ভাবা হচ্ছিল তাকে। ইনজুরি ও নির্বাচকদের উপেক্ষায় দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে এ ক্রিকেটার।
Comments