গিল-কোহলির সেঞ্চুরির পর সিরাজের আগুনে বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিতল ভারত

রোববার থিরুভানান্থাপুরামে তৃতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ৩১৭ রানের পাহাড়সম ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজে সফরকারীদের করেছে হোয়াইটওয়াশড।
Virat Kohli

শুভমান গিলের সুর বেঁধে দেওয়া সেঞ্চুরির পর বিরাট কোহলি করলেন বিস্ফোরক সেঞ্চুরি। নাম লেখালেন আরও এক রেকর্ডে। এতে ভারত পুঁজি নিয়ে যায় চারশো কাছে, ম্যাচের গতিপথও তখন অনেকটা পরিষ্কার। যা কিছু উত্তেজনার তাও হাওয়া লঙ্কান ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে। মোহাম্মদ সিরাজের তোপে ৩৯ রানেই যে ৬ উইকেট পড়ে গেল শ্রীলঙ্কার। এরপর সিরাজ পাঁচ উইকেট পাবেন কিনা তা নিয়েই ছিল কেবল সবার কৌতূহল। সিরাজের পাঁচ উইকেট না হলেও শ্রীলঙ্কা ঠিকই হলো বিধ্বস্ত।

রোববার থিরুভানান্থাপুরামে তৃতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ৩১৭ রানের পাহাড়সম ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজে সফরকারীদের করেছে হোয়াইটওয়াশড। রানের দিক থেকে ওয়ানডে ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় জয়ের ঘটনা।  এর আগের রেকর্ড ছিল নিউজিল্যান্ডের। ২০০৮ সালে তারা ২৯০ রানে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে। 

আগে ব্যাটিং বেছে গিলের ৯৭ বলে ১১৬ ও কোহলির ১১০ বলে ১৬৬ রানে ভর করে ৩৯০ রানের পুঁজি গড়ে ভারত। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় দাসুন শানাকার দল গুটিয়ে যায় স্রেফ ৭৩ রানে।

রানে ভরা উইকেটে গিলকে নিয়ে ভারতকে দারুণ শুরু পাইয়ে দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ফিফটির আগে রোহিত বিদায় নিলে গিলের সঙ্গে জম্পেশ জুটি পেয়ে যান কোহলি।

দ্বিতীয় উইকেটে ১১০ বল খেলে এই জুটি যোগ করে ফেলে ১৩১ রান। আগ্রাসী সেঞ্চুরির পর কাসুন রাজিথার বলে বোল্ড হয়ে থামেন গিল। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে ৭১ বলে ১০৮ রানের আরেক জুটি গড়েন কোহলি। এই জুটিতে উত্তাল ছিল তার ব্যাট। ৩৯ বলেই তিনি যোগ করেন আরও ৬৯ রান। স্লগ ওভারে রান বাড়ানোর তাড়ায় শ্রেয়াস, লোকেশ রাহুল,  সূর্যকুমার যাদবরা তড়িঘড়ি ফিরলেও কোহলি এক পাশে চালাতে থাকেন।

ওয়ানডে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দশম সেঞ্চুরিতে তিনি ছাড়িয়ে যান কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারকে। এখন ওয়ানডেতে একদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি কোহলির।  সব মিলিয়েও সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির খুব কাছে চলে গেছেন তিনি। ওয়ানডেতে শচিনের ৪৯ সেঞ্চুরি থেকে এখন আর তিন ধাপ পেছনে কোহলি।

৩৯১ রানের লক্ষ্যে নামা লঙ্কানদের ইনিংসের শুরুতেই আঘাত হানেন সিরাজ। দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন আবিস্কা ফার্নেন্দোকে। চতুর্থ ওভারে তার শিকার হন কুশল মেন্ডিস। মোহাম্মদ শামি চারিথা আসালাঙ্কাকে তুলে নেওয়ার পর নুয়ানিন্দু ফার্নেন্দোর স্টাম্প উড়িয়ে দেন সিরাজ। অধিনায়ক শানাকা থামেন কুলদীপ যাদবের বলে। পরে ভানিন্দু হাসারাঙ্গাকে বোল্ড করে চতুর্থ উইকেট শিকার করেন সিরাজ। তার পাঁচ উইকেট পাওয়া মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। সিরাজের পাঁচ উইকেটের জন্য টেস্টের মতো ফিল্ডিং সাজান রোহিত শর্মা। কিন্তু ফাইফারের দেখা আর মেলেনি।

ফিল্ডিংয়ে চোট পাওয়ায় আসেন বান্দারা আর ব্যাট করতে পারেননি। লাহিরু কুমারাকে আউট করে কুলদীপ নবম উইকেট ফেলতেই শেষ হয়ে যায় খেলা।

Comments