আমিরাতকে হারিয়েও বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের

কাগজে কলমে টিকে থাকলেও কার্যত আসর থেকে বাদ পড়া এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল বাংলাদেশের। তবুও অবিশ্বাস্য কিছু করে ফেলার আশায় নেমেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল। তেমন কিছু না পারলেও জয় দিয়েই আসর শেষ করেছে ক্ষুদে বাঘিনীরা। আরব আমিরাতকে উড়িয়ে দিয়েও রানরেটে পিছিয়ে থাকায় বিদায় নিয়েছে দলটি।

বুধবার পচেফস্ট্রুমে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে নিজেদের শেষ ম্যাচে আরব আমিরাত অনূর্ধ্ব-১৯ি নারী দলকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৬৯ রান করে আমিরাতের মেয়েরা। জবাবে ৬৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে বাংলাদেশ।

এই গ্রুপে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমান ৬ পয়েন্ট বাংলাদেশের। কিন্তু রান রেটে পিছিয়ে থাকায় তৃতীয় স্থানে থেকে বিদায় নিতে হয় দিশা বিশ্বাসের দলকে। সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নেয় অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। 

বোলারদের সৌজন্যে এদিন আমিরাতকে অল্প রানেই আটকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ২ রানেই ওপেনার মিস্টি সাহাকে হারায় তারা। নন্দকুমারের বলে বোল্ড হয়ে যান এ ওপেনার।

তবে আরেক ওপেনার আফিয়া প্রত্যাশাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন স্বর্ণা আক্তার। এ দুই ব্যাটারের ১৯ রানের জুটির পর জোড়া ধাক্কা খায় জুনিয়র টাইগ্রেসরা। নন্দকুমারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন প্রত্যাশা। আর ধর্নিধার্কার বলে খালি হাতে বল হয়ে যান সুমাইয়া।

এরপর রাবেয়াকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন স্বর্ণা। ৪৬ রানের জুটিতে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন এ দুই ব্যাটার। এরপর অবশ্য ১ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন এ দুই ব্যাটার। তবে বাকি কাজ দিশা বিশ্বাসকে নিয়ে সহজেই শেষ করেন উন্নতি আক্তার।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন স্বর্ণা। ১৯ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ১৫ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ১৫ রান করেন প্রত্যাশা। ১৩ বলে ২টি চারের সাহায্যে ১৪ রান করেন রাবেয়া। আমিরাতের পক্ষে ২টী করে উইকেট নেন নন্দকুমার ও ধর্নিধার্কা।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মারুফা আক্তারের তোপে পড়ে আমিরাতের মেয়েরা। অধিনায়ক তির্থ সাতিশকে বোল্ড করার পর সামিরা ধার্নিধার্কাকে ফেলেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। ফলে ৪ রানেই ২ উইকেট হারায় দলটি।

এরপর অবশ্য মাহিকা গউরের লাবন্য কেনির জুটিতে কিছুটা লড়াই করে আমিরাত। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩২ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। এ জুটি ভাঙেন রিয়া আক্তার শিখা। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মাহিকাকে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। রাবেয়া আক্তারের তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে একশর অনেক আগেই গুটিয়ে যায় দলটি।

আমিরাতের হয়ে মাত্র দুই ব্যাটার দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রানের ইনিংস খেলেন লাবন্য। ৪৬ বলে ৩টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ২৭ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৭ রান করেন মাহিকা।

বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ১৪ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার রাবেয়া। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট পান মারুফা।

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

6h ago