কনওয়ে-মিচেলের ফিফটিতে ভারতকে হারাল নিউজিল্যান্ড
ড্যাভন কনওয়ে ও ড্যারিল মিচেলের জোড়া ফিফটিতে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। এরপর বোলারদের দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং। তাতে ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং টপ অর্ডার। অবশ্য চেষ্টা চালিয়েছিলেন সময়ের সেরা ব্যাটার সুরিয়াকুমার যাদব ও ওয়াশিংটন সুন্দর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেননি তারা। ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কিউইরা।
শুক্রবার রাঁচিতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারতকে ২১ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে কিউইরা। জবাবে নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৫ রানের বেশি তুলে পারেনি স্বাগতিকরা।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। দলীয় ১৫ রানেই টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। এরপর অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে দলের হাল ধরেন সুরিয়াকুমার যাদব। ৬৮ রানের জুটি গড়ে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন এ দুই ব্যাটার। তবে রানের গতি সে অর্থে সচল করতে পারেননি তারা।
শুরুতে দেখে শুনে খেলে ধীরে ধীরে আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা চালান সুরিয়া ও পান্ডিয়া। তবে বড় ক্ষতি করার আগেই এ জুটি ভাঙেন ইশ সোধি। লং অনে ফিন অ্যালানের ক্যাচের পরিণত করেন সুরিয়াকে। পরের ওভারে অধিনায়ক পান্ডিয়াকে ফেরান মিচেল ব্রেসওয়েল।
এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তবে সতীর্থদের কাছ থেকে পাননি পর্যাপ্ত সহায়তা। ফলে ফিফটি তুলে নিতে পারলেও হার এড়াতে পারেননি এ অলরাউন্ডার।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংস খেলে লোকি ফার্গুসনের শিকার হন ওয়াশিংটন। ২৮ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৩৪ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন সুরিয়া। ২১ রান করেন পান্ডিয়া।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ১১ রানের খরচায় ২টী উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার। এছাড়া ২টি করে উইকেট পান ব্রেসওয়েল ও ফার্গুসনও।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে নিউজিল্যান্ড। ফিন অ্যালান ও ডেভন কনওয়ের ওপেনিং জুটিতে আসে ৪৩ রান। অ্যালানকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন ওয়াশিংটন সুন্দর। একই ওভারে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না হতেই মার্ক চাপমানকে খালি হাতে ফেরান এ স্পিনার।
এরপর গ্লেন ফিলিপ্সকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার কনওয়ে। তৃতীয় উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। এরপর ফিলিপ্স ফিরে গেলে ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়ে আর্শদিপ সিংয়ের শিকার হন কনওয়ে। এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েই মাঠ ছাড়েন মিচেল।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন মিচেল। ৩০ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ৩৫ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন কনওয়ে। ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া ২৩ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৫ রান করেন অ্যালান।
ভারতের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ২২ রানের খরচায় ২টি উইকেট তুলে নেন ওয়াশিংটন।
Comments