বাভুমার সেঞ্চুরিতে সিরিজ দ. আফ্রিকার

ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার, হ্যারি ব্রুক ও মঈন আলীর ফিফটিতে বড় পুঁজিই পেয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার সেঞ্চুরিতে সে পুঁজি যথেষ্ট হয়নি ইংল্যান্ডের জন্য। তার সঙ্গে শেষ দিকে অভিজ্ঞ ডেভিড মিলার দেন দারুণ ফিনিশিং। তাতে দারুণ এক জয় তুলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করল দক্ষিণ আফ্রিকা।  

ব্লুমফন্টেইনে রোববার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৪২ রান করে ইংলিশরা। জবাবে ৫ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিক দলটি।

লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ সূচনা পায় প্রোটিয়ারা। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৭৭ রান যোগ করেন অধিনায়ক বাভুমা। এ জুটি ভাঙেন ওলি স্টোন। ফেরান ডি কককে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে রাসি ফন ডাসেনের সঙ্গে আরও ৯৭ রানের একটি দারুণ জুটি গড়েন অধিনায়ক।

এরপর অবশ্য ৪ রানের ব্যবধানে এ দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফিরেছিল ইংল্যান্ড। বাভুমাকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন স্যাম কারান। এরপর আদিল রশিদের শিকার হন ডাসেন। চতুর্থ উইকেটে হ্যানরিক ক্লাসেনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন এইডেন মার্করাম। ৫৫ রানের জুটি গড়ে ফের প্রোটিয়াদের ম্যাচে ফেরান তারা।

ক্লাসেনকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন স্টোন। তবে ডেভিড মিলারকে নিয়ে ৪৯ রানের আরও একটি জুটি গড়ে আউট হন মার্করাম। ততোক্ষণে জয়ের ভিত পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর মার্কো ইয়ানসেনকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মিলার।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন বাভুমা। ১০২ বলের ইনিংসটি সাজাতে ১৪টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ৩৭ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মিলার। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৪৩ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৯ রান করেন মার্করাম। ইংল্যান্ডের পক্ষে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন স্টোন ও রশিদ।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ইংল্যান্ড। দলীয় ৩৩ রানেই দুই ওপেনার জেসন রয় ও ডেভিড মালানকে হারায় তারা। এরপর তৃতীয় উইকেটে বেন ডাকেটের সঙ্গে দল ধরেন হ্যারি ব্রুক। ৪৯ রানের জুটি গড়ে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন এ দুই ব্যাটার।

এরপর ডাকেট ফিরে গেলে অধিনায়ক জস বাটলারের সঙ্গে ৭৩ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়ে মার্করামের শিকার হন ব্রুক। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসেন মঈন আলী। জুটি বাঁধেন অধিনায়ক বাটলারের সঙ্গে। গড়েন ১০৬ রানের জুটি। এরপর সপ্তম উইকেটে কারানের সঙ্গে ৫৪ রানের আরও একটি জুটি গড়ে দলকে বড় পুঁজি গড়েই মাঠ ছাড়েন ইংলিশ অধিনায়ক।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন বাটলার। ৮২ বলের ইনিংসটি সাজাতে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন অধিনায়ক। ব্রুকের ব্যাট থেকে আসে ৮০ রান। ৭৫ বলে ৭টি চার ও ৪টী ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৪৫ বলে ৬টি চার ও ১টী ছক্কায় ৫১ রান করেন মঈন। এছাড়া কারানের ব্যাট থেকে আসে কার্যকরী ২৮ রান।

প্রোটিয়াদের পক্ষে ৬৪ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান আনরিক নরকিয়া।

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

3h ago