এসব উইকেট টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ না: হার্দিক
২০ ওভার খেলে তিন অঙ্কের ঘরে যেতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ওই মামুলি রান তাড়া করতে গিয়েও জেরবার অবস্থা হয় ভারতের। মন্থর ও টার্নিং উইকেটের পরিস্থিতি ছিল এমনই। লক্ষ্ণৌর উইকেটকে তাই টি-টোয়েন্টির জন্য একদম আদর্শ মনে হয়নি ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার।
রোববার ভারত-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হয় লো স্কোরিং। আগে ব্যাটিং নিয়ে স্পিন ঘূর্ণিতে নাকাল হয়ে ২০ ওভার খেলে স্রেফ ৯৯ রান করে নিউজিল্যান্ড। ৪ উইকেট হারিয়ে ওই রান তুলতে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয় ভারতকে।
ম্যাচ শেষে লক্ষ্ণৌর বাইশগজের অবস্থার জন্য কিউরেটকে রীতিমতো কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন হার্দিক, 'আসলে উইকেট দেখে আমি অবাক হয়ে গেছি। সিরিজে দুই ম্যাচেরই উইকেট এমন ছিল। কঠিন উইকেটে খেলতে সমস্যা নেই কিন্তু এসব উইকেট টি-টোয়েন্টির জন্য বানানো হয়নি। প্রতি ম্যাচেই কিউরেটর একই ধরনের উইকেট বানাচ্ছে। যে মাঠে আমরা খেলব বলে ঠিক করা হয়, সেই মাঠের উইকেট যথেষ্ট সময় নিয়ে বানানো উচিত।'
কাল নিউজিল্যান্ড ইনিংসের শুরুতে নিজেই বল তুলে নেন হার্দিক। এক ওভার বোলিংয়ের পরেই বুঝতে পারেন, এই পিচে স্পিন ভালো ধরবে। তাই ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার থেকেই দুই প্রান্তে দুই স্পিনার লাগিয়ে দেন। চার স্পিনার চাহাল, কুলদীপ, ওয়াশিংটন সুন্দর ও দীপক হুদাকে দিয়ে ১৩ ওভার বোলিং করান হার্দিক। তাঁরা প্রত্যেকেই উইকেট এনে দেন। শেষে পেসার শিবম মাভিকে বোলিংয়ে না আনলে কিউইরা হয়তো আরও কমে আটকে যেত। অনভিজ্ঞ মাভি এক ওভার বোলিং করে দেন ১১ রান।
ভারত অধিনায়ক ২০ ওভারের মধ্যে ১৩ ওভারই করান স্পিনারদের দিয়ে। চার স্পিনারের ঘূর্ণিতে ব্যাটারদের অবস্থা হয় কাহিল। উইকেটের পরিস্থিতি বুঝে নিউজিল্যান্ডও ভরসা খুঁজে নেয় স্পিনারদের উপর।
ভারত অধিনায়ক বলছেন, শীতের রাতে শিশির থাকলেও উইকেটের মন্থরতার কারণে স্পিনাররা সুবিধা পাচ্ছিলেন, 'বল অনেক ঘুরছিল। শিশির পড়লেও বল করতে সমস্যা হচ্ছিল না। এই ধরনের উইকেটে ১২০ রানও যথেষ্ট।'
এর আগে রাঁচিতে উইকেট মন্থর হলেও রান এসেছিল। নিউজিল্যান্ডের ১৭৬ রান তাড়া করতে গিয়ে ১৫৫ রানে থেমে যায় ভারত।
Comments