নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ফিফটি জ্যোতির
অ্যাশলি গার্ডনারের বল এক্সট্রা কাভারে ঠেলে দিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। সিঙ্গেল নিয়ে ব্যাট উঁচিয়ে ধরলেন তিনি। ততক্ষণে শুরু হয়ে যায় তার সতীর্থদের করতালি। এমন উদযাপন না-ই বা কেন! ওই এক রানের মাধ্যমে ফিফটি পূরণ হয় তার। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে এমন কীর্তি আগে করে দেখাতে পারেননি কেউ।
মঙ্গলবার পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জ'স পার্কে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৭ রান তুলেছে তারা। অধিনায়ক জ্যোতি ছাড়া বাকি ব্যাটাররা হন ব্যর্থ। সাদামাটা পুঁজির অর্ধেকের বেশি রানই আসে তার ব্যাট থেকে। ডানহাতি তারকা চারে নেমে খেলেন ৫৭ রানের ঝলমলে ইনিংস। ৫০ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে আসে ৭ চার ও ১ ছক্কা।
২০১৪ সালে অভিষেকের পর এই নিয়ে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষ হয়েছে তাদের। বিশ্ব আসরে ১৯তম ম্যাচে এসে কোনো ক্রিকেটারের কাছ থেকে মিলেছে প্রথম হাফসেঞ্চুরি। ইনিংসের ১৬তম ওভারে ফিফটি স্পর্শ করেন জ্যোতি। সেজন্য তাকে খেলতে হয় ৪১ বল।
নারী টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ২৫ বছর বয়সী জ্যোতি। এই সংস্করণে এটি তার পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি। নামের পাশে সেঞ্চুরিও আছে একটি। সব মিলিয়ে ৭১ ম্যাচে ২৫.১৯ গড়ে তার সংগ্রহ ১৩১০ রান।
ব্যক্তিগত ৪৪ রানে একবার জীবন পাওয়া জ্যোতি আউট হন ১৯তম ওভারে। সেই গার্ডনারকেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ করতে পারেননি। কাভারে অজি অধিনায়ক মেগ ল্যানিং লুফে নেন ক্যাচ।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে আগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল রুমানা আহমেদের। ২০১৪ সালের আসরে ঘরের মাঠে ৪১ রান করেছিলেন তিনি। সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৪ বল মোকাবিলায় তিনি মেরেছিলেন ৩ চার। প্রায় নয় বছর ধরে টিকে থাকা রেকর্ড এবার ভেঙেছেন জ্যোতি।
Comments