'টেকনিক্যাল ত্রুটি'র কারণে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিল ভারত
ভুলটা হয়েছিল আইসিসির ওয়েবসাইটে। সেখানে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে শোভা পাচ্ছিল ভারতের নাম। ফলে ক্রিকেট ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে তাদের একই সময়ে তিন সংস্করণের র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় ওঠার খবর ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যমে। সেই টেকনিক্যাল ত্রুটি পরবর্তীতে সংশোধন করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সংশোধিত র্যাঙ্কিং অনুসারে, টেস্টের এক নম্বর দলের স্থান ধরে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। ২৯ ম্যাচ খেলা অজিদের রেটিং পয়েন্ট ১২৬। তবে টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে তাদের রেটিং পয়েন্ট কিছু সময়ের জন্য ১১১ দেখানো হয়েছিল। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারত রয়েছে দুইয়ে। ৩২ ম্যাচ খেলা দলটির রেটিং পয়েন্ট ১১৫।
ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে বুধবার রাতে আইসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'আইসিসি স্বীকার করছে যে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এ অল্প কিছু সময়ের জন্য একটি টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে ভারতকে ভুলক্রমে আইসিসির ওয়েবসাইটে এক নম্বর টেস্ট দল হিসেবে দেখানো হয়েছিল। সেকারণে যে কোনো সমস্যা হয়ে থাকলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।'
ইতিহাসের একমাত্র দল হিসেবে ২০১৪ সালে একইসঙ্গে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের অবস্থান ভুল প্রমাণিত হওয়ায় এই অনন্য কীর্তি আপাতত তাদের একারই থাকছে।
তিনে থাকা ইংল্যান্ডের রেটিং পয়েন্ট ১০৬। ঠিক ১০০ পয়েন্ট নিয়ে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের চার নম্বরে অবস্থান করছে নিউজিল্যান্ড। পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা (৮৫), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৭৯), পাকিস্তান (৭৭), শ্রীলঙ্কা (৭৬), বাংলাদেশ (৪৬) ও জিম্বাবুয়ে (২৫)।
গত জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠে ভারত। তাদের রেটিং পয়েন্ট ১১৪। তাদের কাছে সিংহাসন হারানো অস্ট্রেলিয়া ১১২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আছে দুইয়ে।
ভারত টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হয় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। নিজেদের মাটিতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তারা হোয়াইটওয়াশ করে ৩-০ ব্যবধানে। তাদের রেটিং পয়েন্ট ২৬৭। মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে তাদের ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে পরের অবস্থানে থাকা ইংল্যান্ড।
Comments