'স্টিং অপারেশন' কাণ্ডের পর ভারতের প্রধান নির্বাচকের পদত্যাগ
সম্প্রতি ভারতের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল 'স্টিং অপারেশন' চালায়। তাদের কাছে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। ওই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি।
শুক্রবার ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বিসিসিআই সচিব জয় শাহের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন চেতন। তাৎক্ষণিকভাবে সেটা গ্রহণও করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিসিসিআই কর্মকর্তা দেশটির আরেক সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে চেতনের পদত্যাগের খবর স্বীকার করেছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, 'হ্যাঁ, বোর্ড সচিব জয় শাহের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন চেতন। তা গ্রহণও করা হয়েছে। স্টিং অপারেশন কাণ্ডের পর তার ভবিষ্যৎ এমনিতেই নড়বড়ে ছিল। নিজে থেকেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। কেউ তাকে জোর করেনি।'
কিছু দিন আগে একটি টিভি চ্যানেল 'স্টিং অপারেশন' চালালে সেখানে ফেঁসে যান চেতন। একে 'আন্ডারকভার অপারেশন'ও বলা হয়। ছদ্মবেশ ধারণ করে বা ফাঁদ পেতে কারও কাছ থেকে তথ্য বের করা বা কোনোকিছু উদ্ধার করার প্রক্রিয়া এটি।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভারত ক্রিকেট দলের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে কথা বলছেন চেতন। সেগুলোর মধ্যে ছিল সাবেক বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির বিরাট কোহলিকে পছন্দ না করা, কোহলি ও রোহিত শর্মার মধ্যকার ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব ও পুরোপুরি ফিট হওয়ার জন্য জাসপ্রিত বুমরাহসহ কয়েকজন ক্রিকেটারের ইনজেকশন ব্যবহারের মতো স্পর্শকাতর তথ্য। এরই পরিণাম হিসেবে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে মনে করছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
ভারতের হয়ে ২৩ টেস্ট ও ৬৫ ওয়ানডে খেলা ৫৭ বছর বয়সী চেতনের এই নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রধান নির্বাচকের পদ গেল। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর তিনিসহ গোটা নির্বাচক প্যানেলকেই সরিয়ে দিয়েছিল বিসিসিআই।
নির্বাচক চেয়ে পরবর্তীতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হলে আবেদন করেন চেতনও। গত মাসে তাকে নেওয়ার পাশাপাশি বিস্ময়করভাবে ফের দেওয়া হয় প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব। এবার তার পদত্যাগের পর বর্তমানে প্যানেলে আছেন সলিল আঙ্কোলা, শিব সুন্দর দাস, সুব্রত ব্যানার্জি ও এস শরৎ। বিসিসিআই এখনও নতুন প্রধান নির্বাচক নিয়োগ দেয়নি।
Comments