আর্চার যখন ‘বাঁহাতি স্পিনার’, সঙ্গীতের মূর্ছনায় কারান
জোফরা আর্চার হুট করে বনে গেলেন বাঁহাতি স্পিনার। মিরপুর একাডেমি মাঠের নেটে তাকে দেখা গেল এই ভূমিকায়। অবশ্য এরকম কয়েকটা বলই করেছেন তিনি। স্যাম কারান আবার অনুশীলনের পাশাপাশি নিলেন 'ডিজের' দায়িত্ব। তারহীন স্পিকারে নব্বুই দশকের রক গানের তালে মাতিয়ে রাখলেন অনুশীলন।
শনিবার মিরপুরে প্রথম দিনের অনুশীলনে ইংল্যান্ড দলকে পাওয়া গেল দারুণ ফুরফুরে মেজাজে। সকাল ১০টায় মূল মাঠে প্রবেশ করেন জস বাটলাররা। গা গরমের ফুটবল খেলে পার করে দেন ৪০ মিনিট।
এরপর তারা রওয়ানা দেন একাডেমি মাঠের দিকে। কারানের হাতে থাকা তারহীন স্পিকারে ঈগলসের 'দ্য হোটেল ক্যালিফোর্নিয়া' শুনতে শুনতে শরীর দুলিয়ে ব্যাট-বলের অনুশীলনে ঢুকেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা।
প্রায় পুরো অনুশীলন জুড়েই চলতে থাকা রক ঘরানার গান। ব্রায়ান অ্যাডামসের 'সামার অব সিক্সটি নাইন', রেড হট চিলি পিপার্সের 'ক্যালিফোর্নিকেশনের' সুরে মেতে সেশন সারতে থাকেন তারা।
অধিনায়ক বাটলার, কোচ ম্যাথু মটকে অবশ্য উইকেটের ধরণ ধারন বুঝতে বারবারই কিউরেটরের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
নেটে শুরুতে ব্যাট করতে যান বাটলার ও দাবিদ মালান। এদের বিপক্ষে পুরো ছন্দে বল করছিলেন আর্চার, মার্ক উডরা। খাটো লেংথের বল করে ব্যাটারদের হকচকিয়ে দিতে চাইছিলেন আর্চার, মাঝে মাঝেই মারছিলেন ইয়র্কর।
মাঝের উইকেটে একা স্পট বোলিং অনুশীলন করছিলেন লেগ স্পিনার রেহান আহমেদ, অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার আদিল রশিদ তখন নেটে পরীক্ষায় ফেলছেন মিডল অর্ডার ব্যাটারদের।
এদিন নেটে কোন বাঁহাতি স্পিনার দেখা যায়নি। স্থানীয় যেসব নেট বোলার ইংল্যান্ড দলকে দেওয়া হয়েছে সেখানে বেশিরভাগ ছিলেন অফ স্পিনার। বাংলাদেশের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলামদের ঘূর্ণি সামলাতে হবে ইংল্যান্ডকে। মিরপুরের উইকেটে যেকোনো দলের জন্যই তারা মোটামুটি আতঙ্কের নাম। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের উইকেট সম্পর্কে ধারনা আছে আর্চারের। টেল এন্ডার ব্যাটার আদিলের ব্যাটিংয়ে পালা আসলে ডানহাতি পেসার থেকে তিনি বনে যান বাঁহাতি স্পিনার। আদিলকে ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে এরকম কয়েকটা বল করেছেন আর্চার।
বাংলাদেশ সফরে শুরুতে একটি অনুশীলন ম্যাচ খেলার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। তবে তারা চারদিন যাত্রা পিছিয়ে বাতিল করে দেয় সেই ম্যাচ। ১ মার্চ থেকে ওয়ানডে সিরিজে নামার আগে আরও তিনটি সেশন পাবে ইংল্যান্ড। মিরপুরের উইকেট নিশ্চিতভাবেই তাদের রাখবে ভাবনায়।
সাম্প্রতিক সময়ে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে ব্যাটিংটাকে অন্য স্তরে নিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। মিরপুরের মন্থর ও দুইরকম বাউন্সের উইকেটে তাদের কাজটা সহজ হওয়ার কথা না। উপমহাদেশের দল হয়েও কদিন আগে এখানে ওয়ানডে সিরিজ হেরে গেছে ভারত।
ইংল্যান্ডের অবশ্য সুখস্মৃতি দিবে প্রেরণা। ঘরের মাঠে সর্বশেষ যে ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ হেরেছে সেটি এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই। ২০১৬ সালে সম্ভাবনা জাগিয়েও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল মাশরাফি মর্তুজার দল।
Comments