বিসিএলে সাদমানের সেঞ্চুরি
এক সময় টেস্ট দলে জায়গা নিয়মিত ছিল ওপেনার সাদমান ইসলামের। সেই জায়গা হারিয়েছেন বেশ কিছুদিন আগে। ফেরার লড়াইয়ে থাকা এই বাঁহাতি ব্যাটার সেঞ্চুরি পেলেন বিসিএলের ম্যাচে।
শনিবার বগুড়ার শহিদ চান্দু স্টেডিয়ামে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ১৩০ রানের ইনিংস খেলেন দক্ষিণাঞ্চলের সাদমান। তার ব্যাটে প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেটে ২৮১ রান তুলেছে দক্ষিণাঞ্চল।
বিপিএলের আগে হয়েছিল বিসিএলের দুটি রাউন্ড। বিপিএল বিরতি শেষে শনিবার থেকে শুরু তৃতীয় রাউন্ডের খেলা। বগুড়ায় সকালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই পিনাক ঘোষের উইকেট হারায় দক্ষিণাঞ্চল। এরপর এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন সাদমান।
দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের জুটিতে আসে ৪৯ রান। থিতু হওয়া বিজয় ৩৭ বলে ২৩ রান করে হয়ে যান রানআউট। চারে নামা অমিত হাসান নেমে দারুণ সঙ্গ দেন সাদমানকে। দুজনের আরেকটি জুটি জমে উঠে।
তৃতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ৮১ রান। অমিতও থিতু হয়ে থামান দৌড়। রাকিবুল হাসানের বাঁহাতি কাবু হন ৩০ রান করা ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে আসে ইনিংস সেরা জুটি। ফজলে মাহমুদ রাব্বির সঙ্গে মিলে ১১০ রান আনেন সাদমান। ফিফটি করেই সৌম্য সরকারের বলে বিদায় নেন রাব্বি। আবু হায়দার রনি ও সৌম্যের আরও দুই উইকেটে আচমকা বেড়ে যায় চাপ। দিনের একদম শেষ দিকে আবু হায়দারের বলে বোল্ড হন সাদমানও। ২৪০ বলে ১৭ চার, ১ ছক্কায় ১৩০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
৪০ রানে ৩ উইকেট নেন সাদমান, সৌম্য ১৭ রানে ধরেন দুই শিকার।
নাঈমের ফিফটি, আবু জায়েদের তিন উইকেট
কক্সবাজারে দিনের আরেক ম্যাচে আসেনি খুব আহামরি কোন পারফরম্যান্স। টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে ৬ উইকেটে ২৮৮ রান তুলে দিন শেষ করেছে উত্তরাঞ্চল।
দলের হয়ে ২০৭ বলে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করে অপরাজিত আছেন অভিজ্ঞ নাঈম ইসলাম। উত্তরের ইনিংস রুখে দিতে ৯৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি। বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তানভীর ইসলাম ৫৫ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
নাঈম ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকজন শুরু পেয়েও ইনিংস টানতে পারেননি। ৫ রানের জন্য ফিফটি হাতছাড়া করেন তানজিদ তামিম, ৮ রানের জন্য ফিফটি মিস হয় মাহমুদুল হাসান জয়ের। অভিজ্ঞ নাসির হোসেন আউট হয়েছেন ৪৬ রান করে। ৩৬ রান এসেছে কিপার ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাটে।
Comments