ডিআরএস কোম্পানির সঙ্গে বিসিবির চার বছরের চুক্তি

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজামউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, আসছে দুটি সিরিজে  ডিআরএস তো থাকছেই, বিপিএলেও আগামী চার বছর ডিআরএস পেতে আর কোন সমস্যা হবে না
Nizamuddin Chowdhury Sujon
নিজামউদ্দিন চৌধুরী। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আন্তর্জাতিক সিরিজগুলোতে ডিআরএস প্রাপ্তি নিয়ে কখনই তেমন কোন সমস্যা হয় না। তবে বিপিএল এলেই ডিআরএস পাওয়া নিয়ে সংকটে পড়ে বিসিবি। এবারও বিপিএলে প্লে অফের আগে এই প্রযুক্তি পাওয়া যায়নি। এই সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান করার কথা জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে ডিসিশন রিভিউ সিষ্টেম এখন অত্যাবশ্যকীয় ব্যাপার। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত  আরও নির্ভুল করতে এই প্রযুক্তি সারা বিশ্বেই ব্যবহার করা হয়। তবে বিপিএলের সময় বিসিবি ডিআরএস পেতে প্রায়ই ভুগত।

২০২২ সালের বিপিএলে ডিআরএস ব্যবস্থা করতে পারেনি পর্যাপ্ত সময় হাতে না থাকায়। এই বছরে বিপিএলে সময় হাতে থাকলেও তা আনা সম্ভব হয়নি। বিকল্প ডিআরএস বা এডিআরএস নামের এক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলে তা নিয়ে হয় চরম বিতর্ক। অনেক ক্রিকেটারই মাঠে নিজেদের ক্ষোভ জানাতে থাকেন।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজামউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, আসছে দুটি সিরিজে  ডিআরএস তো থাকছেই, বিপিএলেও আগামী চার বছর ডিআরএস পেতে আর কোন সমস্যা হবে না,  'অবশ্যই ডিআরএস থাকবে। (ইংল্যান্ড সিরিজে)। ডিআরএস নিয়ে তো অনেক কথা হয়েছে। অনেক বিষয় এসেছে। ডিআরএসটা হচ্ছে আমাদের প্রোডাক্টশনের একটা অংশ। আগে যখন ডিআরএস ছিল না তখন কিন্তু আইসিসি ইভেন্টও হয়েছে। কিন্তু এই প্রযুক্তি আসার পর আইসিসি ডিআরএসটাকে সব আইসিসি ইভেন্টের জন্য বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় আমাদের চেষ্টা ছিল ডিআরএসটাকে আনার। আমরা চেষ্টা করেছিলাম ডিআরএসটাকে আমাদের প্রোডাক্টশন টিমের হাতে দিয়েছিলাম। এই জিনিসটা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। আমরা দীর্ঘ মেয়াদে যাচ্ছি।'

'সরাসরি যারা ডিআরএস সার্ভিসটা দিয়ে থাকে, তাদের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তি করেছি, ২০২৭ সাল পর্যন্ত। বাংলাদেশে যে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট (বিপিএল) হবে, সেখানে এখন থেকে সবসময় ডিআরএস থাকবে।'

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago