বিসিএলে জহুরুল-অমিতের সেঞ্চুরি

মুমিনুল ইসলামকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে আগের দিন দিন ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন পূর্বাঞ্চলের জহুরুল ইসলাম। তৃতীয় দিনে তুলে নিয়েছেন নিজের সেঞ্চুরি। এছাড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের অমিত হাসানও। তাতে দারুণ অবস্থানে রয়েছে তাদের দল।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিসিএল) ম্যাচে উত্তরাঞ্চলের চেয়ে ১১৩ রানে পিছিয়ে আছে পূর্বাঞ্চল। আর বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে মধ্যাঞ্চলের চেয়ে ২৭৬ রানে এগিয়ে আছে দক্ষিণাঞ্চল।
আগের দিনের ২ উইকেটে ২১৭ রান নিয়ে এদিন ব্যাটিংয়ে নামে পূর্বাঞ্চল। আগের দুই অপরাজিত ব্যাটার মুমিনুল হক ও জহুরুল এদিনও দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাটিং করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ১৯৪ রান যোগ করার পর ভাঙে তাদের জুটি। নাসির হোসেনের সঙ্গে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন মুমিনুল। ১৯৮ বলে ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১৭টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।
তবে আগের দিন ফিফটি তুলে নেওয়া জহুরুল এদিন তিন অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন। সালাহউদ্দিন শাকিলের বলে আউট হওয়ার আগে খেলেন ১০৩ রানের ইনিংস। ১৯৩ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এরপর এক প্রান্ত আগলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন সাহাদাত হোসেন। শেষ পর্যন্ত ৪০৩ রানে অলআউট হয় দলটি।
উত্তরাঞ্চলের পক্ষে ৫৫ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান শাকিল। সানজামুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম ২টি করে শিকার করেন।
প্রথম ইনিংসে ২৫ রানে পিছিয়ে থাকা উত্তরাঞ্চল নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৩৮ রান তুলে দিন শেষ করেছে। দুই ওপেনার তৌফিক খান ৩৯ ও তানজিব হাসান সাকিব ৩৩ রান করেন। আমিনুল ইসলাম ২৫ ও নাঈম ইসলাম ২০ রানে উইকেটে আছেন।
দিনের অপর ম্যাচে এদিন সকালে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণাঞ্চল। শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না তাদের। ২৮ রানেই হারায় ৩ উইকেট। এরপর অধিনায়ক ফজলে মাহমুদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আমিনুল হক। গড়েন ১৯২ রানের জুটি। সেঞ্চুরি তুলে নেন অমিত। ২৩৫ বলে ১৮টি চারের সাহায্যে ১১২ রান করে অপরাজিত রয়েছেন তিনি।
অমিত সেঞ্চুরি পেলেও নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হয়েছেন ফজলে। ২২৪ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৯০ রান করেন তিনি। নাহিদুল ইসলাম ২৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
মধ্যাঞ্চলের পক্ষে ৪৪ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন মুশফিক হাসান। ২টি উইকেট পান আবু হায়দার রনি।
Comments