১ রানের রোমাঞ্চকর জয় ফলোঅনে পড়া নিউজিল্যান্ডের

অধিনায়ক বেন স্টোকসকে নিয়ে সাবেক অধিনায়ক জো রুট যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন তাতে জয় দেখতে শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ওয়েলিংটন টেস্টে রোমাঞ্চের তখনও বাকি। গর্জে ওঠেন নিল ওয়েগনার। জুটি তো ভাঙেন, তুলে নেন এ দুই সেট ব্যাটারকে। শেষ দিকে প্রতিরোধ গড়তে দেননি জেমস অ্যান্ডারসনকেও। তাতে ১ রানের রুদ্ধশ্বাস এক জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।

ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ক্রিকেটের দেড়শ বছর ইতিহাসে এই দ্বিতীয়বার কোনো দল ১ রানে জয় পেল। এর আগে ১৯৯৩ সালে অ্যাডিলেডে ১ রানে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে ১-১ ব্যবধানে সিরিজে সমতা টানল স্বাগতিকরা। শেষ দিনে ২০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৫৬ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা।

অথচ ব্যাটিং ব্যর্থতায় ফলোঅনে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ২০৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় সাবেক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে ৪৮৩ রান করে তারা। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর বোলারদের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর এক জয় পায় তারা।

আগের দিনের ১ উইকেটে ৪৮ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা ইংলিশ শিবিরে এদিন শুরুর ধাক্কাটা দেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হতেই ফেরান অলি রবিনসনকে। আর ৬ রান যোগ হতে আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটার বেন ডাকেটকে তুলে নেন ম্যাট হেনরি।

তবে দলীয় ৮০ রানে পরপর দুই বলে অলি পোল ও হ্যারি ব্রুককে তুলে ইংলিশদের দারুণভাবে চেপে ধরে নিউজিল্যান্ড। পোপকে লাথামের ক্যাচে পরিণত করেন ওয়েগনার। আর ব্রুক কাটা পড়েন রানআউটে। গ্যালিতে ঠেলে দ্রুত রান নিতে চেয়েছিলেন রুট। তবে মিচেল ব্রেসওয়েলের তড়িৎ গতির ফিল্ডিংয়ে হার মানতে হয় তাদের। কোনো বল মোকাবেলা না করেই আউট হন ব্রুক।

এরপর অধিনায়কের সঙ্গে দলের হাল ধরেন রুট। ষষ্ঠ উইকেটে ১২১ রানের জুটি গড়েন তারা। ওয়েগনারের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে লাথামের হাতে ক্যাচ তুলে দেন স্টোকস। এক ওভার ওয়েগনার রুটকে তুলে নিলে জয় দেখতে শুরু করে নিউজিল্যান্ড। মিডউইকেটের উপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন রুট। তবে ওয়েগনারের কিছুটা এক্সট্রা বাউন্সের বলে টাইমিংয়ে হেরফের করে ক্যাচ তুলে দেন ব্রেসওয়েলের হাতে।

এরপরও ইংলিশদের লড়াইয়ে রেখেছিলেন বেন ফোকস। বিশেষকরে জ্যাক লিচের সঙ্গে ৩৬ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ একটি জুটি গড়েছিলেন। যেখানে মাত্র ১টি রান নিয়েছিলেন লিচ। কিন্তু লিচ অপরাজিত থাকলে টিকতে পারেননি ফোক স। তাকে ফেরান অধিনায়ক সাউদি। টপএজ হয়ে ওয়েগনারের ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন। জয় তখনও ৭ রান দূরে।

শেষ ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমে ওয়েগনারের বলে মিডঅন দিয়ে দারুণ একটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন অ্যান্ডারসন। জয় তখন পেন্ডুলামের মতো দুলছিল। তবে পরের ওভারে ফিরে তাকে ব্লান্ডেলের ক্যাচে পরিণত করে জয় নিশ্চিত করে ওয়েগনার। উইকেটের পেছনে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ ধরেন উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেল।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৫ রানের ইনিংস খেলেন রুট। ১১৩ বলে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ফোকসের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। এছাড়া স্টোকস ও ডাকেট  রান করে করেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৬২ রানের খরচায় ৪টি উইকেট ওয়েগনার। এছাড়া সাউদি ৩টি ও হেন রি ২টি উইকেট নেন।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago