বিসিএল চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চল

সবার আগে ফাইনালে নিশ্চিত করেছিল মধ্যাঞ্চল। তাও গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থেকেই। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষেই নড়বড়ে দলটি। গ্রুপ পর্বে তাদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। এবার তাদের হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শিরোপা জিতে নিল তারা।

সবার আগে ফাইনালে নিশ্চিত করেছিল মধ্যাঞ্চল। তাও গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থেকে। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষেই নড়বড়ে দলটি। গ্রুপ পর্বে তাদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। এবার তাদের হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শিরোপা জিতে নিল দলটি।

কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিএলের ফাইনালে মধ্যাঞ্চলকে ইনিংস ও ৩৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। গ্রুপ পর্বে মধ্যাঞ্চলকে ১১০ রানে হারিয়েছিল তারা।

ফলোঅনে পড়ে ব্যাটিংয়ে নামা মধ্যাঞ্চল মঙ্গলবার তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২৩৭ রানে। এর আগে প্রথম ইনিংসে ২৩০ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ৫০০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল দক্ষিণাঞ্চল।

শিরোপার সুবাস অবশ্য আগের দিনই পেয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। আগের দিন মধ্যাঞ্চল দিন শেষ করে ৩ উইকেটে ৬৪ রান তুলে। তখনও তারা পিছিয়ে ছিল ২০৬ রানে। ব্যাটিংয়ে নেমে এদিনের শুরুটাও ভালো হয়নি। স্কোরবোর্ডে আর ১৩ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরেন ছন্দে থাকা ব্যাটার জাকের আলী। তাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন নাজমুল ইসলাম অপু।

এরপর স্কোরবোর্ডে আর কোনো রান যোগ না হাতে আরেক সেট ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত হারায় দলটি। মিঠুনকে অমিত হাসানের ক্যাচে পরিণত করেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। আর মোসাদ্দেককে মার্শাল আইয়ুবের ক্যাচে পরিণত করেন নাজমুল। দলীয় ৭৭ রানেই ৩ উইকেট হারায় তারা।

এরপর আরিফুল হককে বিদায় করে তাদের লেজ বের করে আনেন খালেদ। ফলে দলীয় ৯০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে কার্যত তখনই হার দেখতে শুরু করে মধ্যাঞ্চল। এরপর অবশ্য আবু হায়দার রনিকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালান শরিফুল্লাহ। অষ্টম উইকেটে ১২১ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তাতে অবশ্য হারের ব্যবধানই কমেছে। এ জুটি ভাঙতেই সব শেষ।

শরিফুল্লাহকে ফিরিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এ জুটি ভাঙেন খালেদ। পরে ফেরান আবু হায়দারকেও। এরপর আর বাধা হতে পারেননি কেউ। তাতে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দক্ষিণাঞ্চল।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন রনি। ১২৭ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ১১৪ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৬৩ রান করেন শরিফুল্লাহ। ৪৯ রান করেন মিঠুন। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে ৭৪ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন খালেদ। এছাড়া নাজমুল ৩টি ও মইন খান ২টি উইকেট পান।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago